সোহান আহমেদ:
নানা অনিয়ম অব্যাবস্থাপনায় চলছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সমাজসেবা কার্যক্রম। যেখানে প্রতিবন্ধী ভাতা নিতেও গুনতে হয় টাকা। দীর্ঘদিন ঘুরেও ভাতা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবুল কাসেম। তবে ব্যস্থতা দেখিয়ে ইউএনও বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও অব্যস্থাপনা ও অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা সমাজসেবা কর্মকতা।
জান গেছে, নেত্রকোনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা পূর্বধলা। ২০২১ সাল থেকে জেলার ৮৬টি ইউনিয়নেই প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবাসহ সরকারি বিভিন্ন ভাতা শতভাগ নিশ্চিতে কাজ করছে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। কিন্তু এরইমাঝে পূর্বধলা উপজেলা সমাজসেবা কর্যালয়ের করিগরি প্রশিক্ষক রোকেয়া বেগম পারুলসহ মাঠকর্মী মঞ্জুর অসধাচরন ও অনৈতিক ভাবে অর্থ দাবিতে চরম হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন সাধারন মানুষ। সম্প্রতি গাঘড়া ইউনিয়নের মেঘ-শিমুল গ্রামের এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভূক্তভোগীর করা লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে উঠে আসে এমন হয়রানির অভিযোগের চিত্র।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন অন্ধত্ব অবস্থায় স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অমানবিক জীবন যাপন করলেও বারবার সমাজসেবা কার্যালয়ে ঘুরে নগদ টাকা ঘুষ দিয়েও ভাতা কার্ড পাননি কাশেম। এমনতাবস্থায় অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেছেন ভূক্তভোগীসহ স্থানীয়রা। এ ছাড়াও ভূল নাম্বার দিয়ে ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ অসংখ্য ভূক্তভোগীর রূপা আক্তার নামে আরো এক অভিযোগকারী।
এদিকে অভিযোগের পর দৃষ্টি প্রতিবন্ধি কাসেমের ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, মুহিবুল্লাহ হক। তবে জনবল সঙ্কটে পুরো উপজেলায় সেবা দিতে কিছুটা হিমসিম খেতে হচ্ছে। ঘুষ নেয়ার অভিযোগের বিষয়গুলো সম্পর্কে অচিরেই ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে নানা ব্যস্থতা দেখিয়ে ইউএনও প্রতিবন্ধীর করা আিভযোগরে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা সমাজসেবা উপ-পরিচালক মোঃ আলাল-উদ্দিন।
সমাজসেবা কর্যালয়ের তথ্যমতে, পূবর্ধলা উপজেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগতিরে ভাতাভোগীর সংখ্যা প্রায় ৩১ হাজার ৪ শ ৫১ জন। এরমাঝে বয়স্ক ১৮ হাজার ৭শ ৮৫ জন, বিধবা ৮ হাজার ৫শ ৪৬ জন ও প্রতিবন্ধী ৪ হাজার ১শ ২০।