নেত্রকোনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজের ভোট দিয়েও জেতাতে পারেন নি ভাইকে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আশীষ সরকার নামে এক ইউপি সদস্য নিজের ভোটটিও দিয়ে দিয়েছেন অপর প্রার্থী ভাইকে।
নেত্রকোনা জেলার হাওলাঞ্চল খালিয়াজুরী উপজেলার সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার নগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওর্য়াডে এই ঘটনাটি ঘটে। তিনি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে তিনি একটিও ভোট পাননি। এ নিয়ে এলাকায় চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। সৃষ্টি হয়েছে হাস্যোরসের। প্রশ্ন একটাই সবার মনে প্রার্থীর নিজের ভোটটি গেল কোথায়?
শূন্য ভোটের প্রার্থী আশীষ সরকার জানায়, আমার চাচাতো ভাই সুদিন সরকার প্রথমে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তার নামে একটি মামলা থাকায় এলাকার সবাই বলাবলি করছিল সুদিনের মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। সেই কারণে আমিও প্রার্থী হই। যাহাতে আমাদের পরিবারে একজন প্রার্থী থাকে। যদিও আমার নামেও ব্যাংকে একটি ঋণ আছে। এরপর ভাই বাচাইয়ে টিকে যাওয়ায় আমার মনোনয়নের আর খোঁজ নেইনি। ভাইকে পাশ করানোর জন্য মানুষের কাছে ভোট চেয়েছি। নিজের ভোটও ভাইকেই দিয়েছি। তবে ভোট গণনার দিন জানলাম কেন্দ্র থেকে আমার নামও ডাকা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন থাকলেও দুটি বাদে গত ২৬ ডিসেম্বর খালিয়াজুরীর চাকুয়া, কৃষ্ণপুর, নগর ও গাজীপুর এ চারটি ইউনিয়নে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। এর মধ্যে তালা প্রতীক নিয়ে কবীন্দ্র সরকার ৩০০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী সুদিন সরকার পেয়েছেন ২৯৪ ভোট। আর আশীষ সরকার টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে কোন ভোটই পাননি। ওয়ার্ডটিতে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৩৭টি। বাতিল হয়েছে ২২টি ভোট।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তারা দুই ভাইয়ের ব্যাপারে কোনো ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। তারা দুজনই যাচাই বাচাইয়ে টিকেছিলেন।