সোহান আহমেদ:
নেত্রকোনায় পুরোদমে আমন আবাদ শুরু হলেও এবার আনুপাতিক বৃষ্টি কম হয়েছে। ফলে আমন চারা রোপন ব্যাহত হচ্ছে। উঁচু জমিগুলোতে করতে পারছেন না রোপণ কাজ। অবশেষে কিছুটা গত সপ্তাহে বৃষ্টি হয়েছে। তবে তা আগামী ১০ থেকে ১৫ দিন অব্যাহত থাকলে আবাদ কার্যক্রম সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। পানি সঙ্কট কমাতে মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নেত্রকোনা জেলার ১০ উপজেলার প্রায় অর্ধেক হাওরাঞ্চল থাকলেও বেশিরভাগ এলাকায় আবাদ হয় আমন ধান। শ্রাবণ মাসে রোপণ প্রক্রিয়া শেষে অগ্রাহায়নে ধান তোলেন কৃষকরা। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আবহাওয়ার নানা পরিবর্তনে বেঘাত ঘটছে কৃষি আবাদে। যেমন গত বছর অধিক বৃষ্টিপাতে বন্যা হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এ অঞ্চলের কৃষকসহ আপামর মানুষের। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে ধানের চারা রোপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দেরিতে। ফলে ধান পাকতে গিয়ে পৌষ মাস চলে আসলে কোল্ড ইঞ্জুরিতে ক্ষতি হবার আশংকাও রয়েছে। জমিগুলো শুকনো অবস্থা থাকায় চারা রোপনে সমস্যা হচ্ছে। শ্রমিক দিয়ে কাজ করালে সে সকল চারা আবার পানির অভাবে নষ্ট হলে ক্ষতির মুখে পড়বেন বলছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এ বছর নেত্রকোনায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৫ শ ৮০ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন হয়েছে। তারমধ্যে ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৪৩ হাজার ৬১৭ হেক্টর। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, পুরোদমে চলছে আবাদ। জমি শুকনো হয়ে যাবার কারণে কৃষি বিভাগ থেকে ইতিমধ্যেই সেচ যন্ত্রের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। মাঝখানে বৃষ্টি পাত একেবারে না হওয়ায় কৃষক ভাইয়েরা সমস্যায় পড়েছিল। তখন আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ সহ ৪২৭ টি সেচযন্ত্র চালু করেছিলাম। কিন্তু গত তিন দিনে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যারজন্য জমিতে ৪৩ হাজারের উপরে রোপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বৃষ্টিপাত পর্যাপ্ত হলে আগামী ১০/ ১৫ দিনের মধ্যে সিংহভাগ আবাদ হয়ে যাবে।