মাত্র আট থেকে দশ মিনিটেই কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে নেত্রকোনায় অসংখ্য গাছপালাসহ কাঁচা কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়েছে। সদর ও পূর্বধলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে বোরো ফসলি জমি সহ অসংখ্য সবজি ক্ষেত। খুটি উপরে যাওয়ায় বন্ধ রযেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। তবে কিছু কিছু এলাকায় এখনো কোন জনপ্রতিনিধি বা সরকারী কাউকে দেখেননি ক্ষতিগ্রস্থরা। এদিকে ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ৮ হাজারেরও বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে বুধবার ভোরে নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ও পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া, খলিশাউর গোহালাকান্দা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে গেছে পচন্ড ঝর ও শিলাবৃষ্টি। এতে বেশ কয়েকটি গ্রামের অসংখ্য গাছপালা কাচা ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি বিনষ্ট হওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয়রা। ঝড়ের পর থেকেই খুটি উল্টে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
প্রত্যক্ষ্যদর্শী কৃষকরা জানান, ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ করেই পুরো এলাকায় এক ধরনের ভূতুড়ে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কিছু বুঝে উঠার অগেই আট থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে এই অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপকভাবে ঝড়সহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ১০ মিনিট ধরে চলা ঝড়ের তা-বে ২৫ থেকে ৩০টি গ্রামের আমের মুকুল, শশা ক্ষেত, বোরো ধান, লাউ ক্ষেত, কলা বাগান, কুমড়া বাগানসহ উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ঝড় ও শিলাবৃষ্টি তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির পরিমান নির্ধারন না হলেও শাকসবজি উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ পরিচালক এ এম শহিদুল ইসলাম জানান, জেলা এ বছর ১ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এরমাঝে পূর্বধলা ও সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলা বৃষ্টিতে ১১৭৫ হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে।