সোহান আহমেদ:
নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি সড়কে দিনের বেলা বালু ভর্তি ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে পূর্বধলা উপজেলাবাসী।
গত কয়েক মাসে এই সড়ক বেপরোয়া ট্রাকের চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে নারী,শিশুসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ। এমতাবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে দিনের বেলায় দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর বালু বুঝাই ট্রাক, বেপরোয়া চলাচল নিষিদ্ধ, ভেজা বালু পরিবহণ বন্ধসহ ৭দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
শনিবার সকালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি সড়কের চৌরাস্তায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণীর পেশার মানুষ। পরে অতিরিক্ত বালু পরিবহনকারী বেপরোয়া ট্রাক আটকে বিক্ষোভ করেন মানববন্ধনকরীরা। এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা বুলবুল আহমেদ, জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াহিদুজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোক্তা রাজিবুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই।
গেল সপ্তাহের ২৫ জুলাই দুপুরে পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি সড়কের মহিষবেড় এলাকায় ট্রাক ও অটো রিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হন স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী সুরুজ আলী, (৬০) কৃষক শাহজাহান (৩০)।
এসময় গুরুতর আহত তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় অটো চালক জুনায়েদ মিয়া মারা যায়। স্থানীয় ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের হিসাব মতে সড়কটি নির্মাণ হওয়ার পর গেল চার বছরে কয়েক শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে আন্দোলনের খবর শুনে স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি সমাধানে তাৎক্ষণিক বেশ কয়েকটি ওভারলোড ট্রাক আটকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকদের আটকে মামলা দেয়।
পরে আন্দোলনকারীদের পক্ষে মানববন্ধন উদ্যোক্তা রাজিবুল ইসলাম রাজিব ৭ দফা তুলে ধরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় প্রশাসনকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।