নেত্রকোনা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে শতাধিক বিদ্যুতের ঝুঁকিপূর্ন খুঁটি রয়েছে। শহর উন্নয়নে সড়ক প্রশস্থ হলেও এসব খুঁটি অপসারণ করা হচ্ছে না। ফলে যানবাহনসহ চলাচলে পথচারীরা রয়েছেন মারাত্মক ঝুঁকিতে। এসব খুঁটিতে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা সহ পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও উদাসীন কর্তৃপক্ষ। সাধারণ মানুষের দাবী দ্রুত সড়কের ওপর থেকে অপসারণ করে দেওয়া হোক এ সকল বিদ্যুতের খুঁটি। এদিকে পৌরসভার দাবী তারা খুঁটি অপসারণ চেয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। অন্যদিকে খুঁটিগুলো সড়ক করার পূর্বেই সরানো দরকার ছিলো বলে জানিয়ে ঝুঁকিপূর্ণগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই সরানো হবে বলেও আশ্বাস বিদ্যুৎ বিভাগের। নেত্রকোনা থেকে আলপনা বেগমের পাঠানো তথ্য ছবিতে রিপোর্ট।
নেত্রকোনা পৌর শহরকে শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বর্তমানে শহরে প্রায় ১২ কিলোমিটার ৩৩ কেবি লাইন রয়েছে। এ ছাড়া বাড়তি ৭৫ কিলোমিটার অংশে ১১ কেবি লাইন ও ১১ /০.৪ লাইন থেকে টেনে নেওয়া লাইনের সংখ্যা রয়েছে ১৪০ কিলোমিটার। মোট ৯টি ফিডারে প্রায় ৪৯ হাজারের মতো গ্রাহক রয়েছে জেলা শহরে।
সর্বমোট ৩ হাজার ৬৬০টি বিদ্যুতের খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন হচ্ছে। যার মধ্যে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কের ওপর প্রায় ১০৫টি খুঁটিই ঝুঁকিপূর্ণ। এর ভেতর ২১টি খুঁটি সড়কের ওপরে এবং প্রায় মাঝখানে।
তারমধ্যে নেত্রকোনা মডেল থানা থেকে সাতপাই রেলক্রসিং, পারলা ঢাকা বাসটার্মিনাল থেকে মোক্তারপাড়া সেতু এলাকা, মোক্তারপাড়া এমপি গলি থেকে শুরু করে তেরিবাজার পর্যন্ত। ডিসি বাংলো রোড থেকে মালনী রোড মোড় হয়ে অজহর রোডে অগ্রণী ব্যাংকসংলগ্ন এলাকা, জয়নগর হাসপাতাল রোড, তেরিবাজার মোড় থেকে রাজুরবাজার, বড় বাজার কাপড়পট্টি, ছোটবাজার, কুড়পাড়সহ বেশকটি এলাকায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি রয়েছে।
সম্প্রতি শহরের ভেতরেই বাসকে সাইড দিতে গিয়ে খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে প্রাণহানিও ঘটেছে। গত প্রায় চার পাঁচ বছর ধরে প্রতিটি সড়ক প্রশস্থকরণ করার ফলে এবং খুঁটিগুলো না সরিয়েই এই প্রশস্থকরণ করায় এখন খুঁটিগুলো প্রায় সড়কে মাঝখানে। অনেক খুঁটি হেলে আছে। এছাড়াও জরাজীর্ন অবস্থায় শহরের বড়বাজার এলাকায় বেশিরভাগ খুঁটি। ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। পথচারীরাও চলাচল করছে বিপদ মাথায় নিয়েই।
নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান জানান, সড়কের কাজ করার সময় সড়কের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি সরানোর কথা বললেও নানা কারণে বিদ্যুৎ বিভাগের দেখা না পাওয়াকেই দায়ী করছেন। সেইসাথে এখনো সহযোগিতা করে সরানোর উদ্যোগের কথা জানান তিনি।
অন্যেিদক বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাহমুদ এলাহি বলেন, এখন সড়ক ভেঙ্গে করাটা খুব কঠিন। এগুলো সড়ক করার পূর্বেই করা উচিৎ ছিলো। তারপরও আমরা অধিক ঝুঁকিপূর্ন লাইনগুলো সড়াতে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
২১ দশমিক ২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নেত্রকোনা শহরে মোট ৯টি ফিডারের আওতায় ১৮১টি ট্রান্সফরমার কাজ করছে। প্রতিটি ট্রান্সফরমারের সাইজ ১০০ কেভিএ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫০ কেভিএ।