সোহান আহমেদ:
নেত্রকোনায় প্রশাসন, রাজনৈতিক ও কৃষক, জনপ্রতিনিধি ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে “হাওরে মৎস্য সম্পদ:বর্তমান বাস্তবতা ও টেকসই আহরণে করণীয় বিষয়ে” এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই ময়মনসিংহ মৎস্য বিভাগের সহায়তায় কর্মশালার আয়োজন করেছে নেত্রকোনা মৎস্য অধিদপ্তর। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুন খন্দকারের সঞ্চালনায় হাওরের মাছ সংরক্ষণ এবং আহরণের জন্য কি কি প্রতিবন্ধকতা ও উদ্যোগ নেয়া যায় এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। যার যার অবস্থান থেকে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় উন্মুক্ত জলাশয়ে ইজারা বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহবান সহ প্রজনন টাইমে তা রক্ষার ব্যাবস্থা নিতে জোর দাবী জানান আলোচকরা। প্রভাবশালীমুক্ত করণ, জেলেদেরকে সচেতন করা, নদীতে বা বিলে অবৈধ বাঁধ দেয়া, ময়লা আবর্জনা নদীতে বা হাওরে না ফেলা এসব নিয়ে আলোচনা করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে জেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ শাহজাহান কবীর জানান, ২৭৯৫.২২ বর্গ কিলোমিটারের জেলায় মোট জলাশয়ের পরিমাণ ৬৭৬৩৯.৯৮ হেক্টর। তার মধ্যে বদ্ধ জলাশয়ের আয়তন ৩৯৮৩৪.৫৩ হেক্টর। বদ্ধ জলাশয়ে মাছের উৎপাদন ৮৩৪৩.৪৬মেট্রিক টন, মুক্ত জলাশয়ে উৎপাদন ৬৭২৬৯.৮৫ মে.টন, নদীতে মাছ উৎপাদন ১,৭৫৮.৩৬ মে.টন, বিলে ৭,৮৪২,২৯ মে.টন, খালে মাছ উৎপাদন ১০৭৭.১২ মে.টন, প্লাবন ভূমিতে মাছ উৎপাদন ৩০৯৯৪.৫৭ মে. টন, হাওরে মাছ উৎপাদন ২৪৭৬৬.৬৪ মে.টন, অন্যন্য জলাশয়ে মাছের উৎপাদন ৮৩০.৮৭ মে. টন।
বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদন (চাষ পদ্ধতিতে) ৪০৬৬৫.৪০ মে.টন, আহরণের মাধ্যমে মাছ উৎপাদন ৬৬৪৩৮.৯৮ মে. টন, শুটকি মাছ উৎপাদন ১৬৩.৫৬ মেট্রিক টনসহ মোট জেলায় মাছ উৎপাদন ১০৭১০৪.৩৮ মেট্রিক টন। জেলায় মাছের চাহিদা রয়েছে ৫২০৭৪.৯৩ মে.টন। জেলায় উদ্বৃত্ত মাছের পরিমাণ ৫৫০২৯.৪৫ মেট্রিকটন। জেলা মৎস্য অফিসার জানান সব মিলিয়ে জেলায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার উপরে মাছ উৎপাদন হয় প্রতি বছর।