নেত্রকোনায় জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্র আবু রায়হান প্রবানকে (৩২) আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
তবে মাদকের পরিমাণ দেখানো হয়েছে নূন্যতম এক গ্রাম।
নানা নাটকীয়তা শেষে আটকের পরদিন প্রকাশ করেছে পুলিশ।
শুক্রবার মাদক আইনে মামলা দিয়ে দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করলে কোট হাজতে রাখা হয়।
এর আগের দিন বিকালে ৫ টায় বারহাট্টা উপজেলার গোপালপুর বাজার এলাকা থেকে আটক করলেও রাতে নেয়া হয় থানায়।
পরদিন কোর্টে প্রেরণের পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
প্রবান এর আগেও মাদক নিয়ে ধরা পড়েছে কয়েকবার। কিন্তু সাংগঠনিক ভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়নি ছাত্রলীগ। এসময় তার সহযোগী তফসির খান (২৫) নামেও আরেক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নেত্রকোনা ডিবি পুলিশের ওসি (পূর্ব) মো. সাইদুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটক আবু রায়হান প্রবান মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান-শিয়াধার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামীলীগের থানা পর্যায়ের এক নেতা জানান চিহ্নিত একজন মাদক ব্যবসায়ী প্রবান। তাকে পুলিশ আটক করলেও প্রভাবের কারণে ছেড়ে দিতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী মাদক নির্মুলে জিরো টলারেন্স নীতি দেখালেও দলীয় কিছু নেতা এদেরকে সহযোগিতা করে পৃষ্টপোষকতা করে। যে কারণে মাদকের ছড়াছড়ি কমছেই না। কত পরিবার শেষ হয়ে যাচ্ছে যা কল্পনার বাহিরে। কিশোর গ্যাং থেকে শুরু করে ছিনতাই সহ নানা অপরাধ বেড়েই যাচ্ছে শুধুমাত্র মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায়।
অভিযান পরিচালনাকারী ডিবি পুলিশের এসআই মো. সাদ্দাম হোসেন জানায়, গোপন সংবাদে বারহাট্টা উপজেলার গোপালপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে জনসম্মুখে প্রবানের শরীর তল্লাশি করা হয়।
পরে এক গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। এ সময় তার সহযোগী তফসির খানকে আটক করা হয়।
এ নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল আওয়াল শাওন বলেন, ছাত্রলীগে মাদকসেবী ও কোন সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না। এ নিয়ে আজই সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত (২০২৩) বছরের ১০ জুলাই ১০ পিস ইয়াবা ও এক গ্রাম হেরোইনসহ প্রবানকে আটক করেছিল পুলিশ। ওই ঘটনায় জেলহাজত খাটলেও তার বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি ছাত্রলীগ।