Sunday, October 13, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদআটপাড়া উপজেলানেত্রকোনার আটপাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় পিতা পুত্রসহ আহত চার

নেত্রকোনার আটপাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় পিতা পুত্রসহ আহত চার

পূর্ব শত্রুতার জেরে নেত্রকোনার আটপাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় পিতা পুত্রসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে চারজন। এরমাঝে গুরুতর আহত ষাটোর্ধ তোফাজ্জল হোসেনকে রবিবার রাতেই আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সোমবার চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেন।

রবিবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের যাদপপুর গ্রামে। রাতেই এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ইছহাক আলী প্রাথমিক ভাবে মাথায় প্রায় ২০ টির মতো সেলাই দিয়ে রক্তক্ষরণ কিছুটা বন্ধ করে তোফাজ্জল হোসেনকে ময়মনসিংহ প্রেরণ করেন।

জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরেই আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে সেচ মেশিন থাকা সত্তেও একই স্থানে জোর পূর্বক আরো একটি সেচ মেশিন স্থাপন করেন এখলাছ মিয়া জুলহাস ও স্থানীয় আশিল মিয়ার জামাই একলাছ উদ্দিন। এ নিয়ে পূর্ব থেকে স্থাপনকৃত মেশিনের মালিক মতি মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো।

এরই জের ধরে আশিল মিয়ার ছেলে সাকিব ও রাকিবসহ বেশকজন মতি মিয়ার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শাকিল মিয়া বাজারে ঔষধ আনতে গেলে পথরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে বিষয়টি সুরাহা করতে মতি মিয়ার ছেলে মাসুম সহ অন্যান্যরা বড় বাড়ির সামনে যেতেই আবারো আশিলের ছেলে রাকিব সাকিব সহ অন্যান্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মতি মিয়াদের উপর উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তোফাজ্জল হোসেন (৬০) এর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তোফাজ্জল। স্থানীয়রা উদ্ধার করে নেত্রকোনা পরে ময়মনসিংহ ও পরবর্তীতে ঢাকায় প্রেরণ করেন। এদিকে অন্ধকারে নিজেদের লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আশিল মিয়ার ছোট ভাই তাহের মিয়া আহত হলে পরবর্তীতে সদর হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়।

এ ঘটনায় হামলাকারী আশিল মিয়ার লোকজন রাতেই আটপাড়া থানায় উল্টো মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে রাখে। এর প্রেক্ষিতে রাতেই পুলিশ গুরুতর আহতদের বাড়িঘরে তল্লাশি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসাধীন আহতরা।

এ ব্যাপারে আটপাড়া থানার ওসি জাফর ইকবাল জানান, এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। আশিল মিয়া ভূমি অফিসে চাকরি করতো বলে জানি। উনি যেভাবে বলেছেন তারটাই শুনেছি। যারা মার খেয়েছে তাদের লোকজন থানায় আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, তদন্ত করে মূল অপরাধীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments