নেত্রকোনার কলমাকান্দায় কৃষকের গোয়ালঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচটি গরু ও দুইটি ছাগল পুড়ে মারা গেছে। এতে করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন দিনমুজুর মানিক মিয়া (৪৮) ও তার পরিবার।শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের চন্দনকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, মানিক মিয়া ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা সড়ক সংস্কার কাজে পাহাড়া দিতে যান।
প্রতিদিনের ন্যায় তার স্ত্রী গোয়াল ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘরটি তালাবদ্ধ করে রাখেন।
রাতের কোন এক সময় ওই ঘরটিতে আগুন লেগে যায়। আর গোয়াল ঘর তালাবদ্ধ থাকায় একে একে পাঁচটি গরু ও দুইটি ছাগল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি জানায়, এ আগুনে তাদের প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিনমুজুর মানিক মিয়া জানান, আমি ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা সড়ক সংস্কার কাজে দিনের বেলা দিনমুজুরের কাজ করি রাতে ওই সড়কে পাহাড়া দেই।
অতিকষ্টে তিন সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে দিনমুজুরের কাজ করে কোন রকমে সংসার চালিয়ে যাচ্ছি। খেয়ে না খেয়ে এক ছেলে ও এক মেয়েকে কলেজে পড়াশুনা করাচ্ছি। আরেক ছেলে স্থানীয় একটি মাদ্রসায় হাফিজি পড়ে। এই গরু ও ছাগল ছাড়া আমার আর কিছু নেই। আমি এখন নিঃস্ব। স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে আমরা মানিক মিয়ার বাড়িতে ছুটে আসি।
দেখি গোয়াল ঘরে আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। পরে আমরা ঘণ্টাব্যাপী পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। কিন্তু ততক্ষণে গরু ও ছাগল আগুনে পুড়ে মারা যায়।
মানিক মিয়া গরু গুলোকে তার সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। তিনি চার কিলোমিটার দুর থেকে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরুগুলোর জন্য ভাতের ফেন চেয়ে এনে খাওয়াতেন।
পোগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ভুক্তভোগি পরিবারকে শান্তনা দেন এবং তিনি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার সাথে যোগযোগ করে সরকারি সহয়তা দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।