নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে কাকলি আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর শাশুড়ি বেগম (৫৫)কে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে কেন্দুয়া থানার পুলিশ উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের রামপুর হাসুয়ারি গ্রামের মৃত একদিল মিয়ার ছেলে সুপল মিয়ার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূর স্বজনদের অভিযোগ যৌতুকের জন্য কাকলিকে হত্যা করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালায়।
গৃহবধূর ভাই মাসুদ মিয়া ও ভাগ্নে রুমন মিয়া জানান, গত দুই বছর পুর্বে রামপুর আংগারওয়া গ্রামের সাত্তার মিয়ার মেয়ে কাকলির বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের হাসুয়ারি গ্রামের মৃত একদিল মিয়ার ছেলে সুপল মিয়ার সাথে। তাদের দাম্পত্য জীবনে সাত মাসের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার তদেরকে জানালে তারা বোনের বাড়ি এসে দেখেন লাশ বাইরে পড়ে আছে। তারা আরও জানান টাকা পয়সা চেয়েছিল কিছুদিন আগে। টাকা না দেয়ায় মারধর করে মেরে ফেলেছে বোনকে। এদিকে খবর পেয়ে বিকালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি কাজি শাহনেওয়াজ বলেন, গৃহবধূর স্বামী সুপলরা চার ভাই। এক ভাই বিদেশ থাকে। আর তিন ভাই বাড়ি থাকে। তাদের বাড়িতে তিন তলা বিল্ডিং এর কাজ চলছে। ওখানে নির্মানাধীন চিলেকোঠার ওপর গিয়েছিল গৃহবধূ।
তারাই স্থানীয়দের সহযোগীতায় লাশ নামিয়ে উঠানে রেখেছে। তারা বলছে বিষ খেয়েছে। একটি বিষের শিশি অবশ্য পাওয়া গেছে। তবে গলায় খামছি দাগও রয়েছে। নিহতের স্বজনদের দাবী দুই দেবর স্বামী মিলে মেরে ফেলেছে। আমরা খবর পেয়ে বাড়ি গিয়ে লাশ উঠানে পেয়েছি। বাড়িতে স্বামী দেবর কাউকে পাইনি। লাশ থানায় লাশ নিয়ে এসেছি।
সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করতে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। আমরা শ্বাশুরিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এনেছি। ময়নাতদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুঝা যাবে কিভাবে মৃত্যু হলো।