নেত্রকোনার মদনে ছিনতাইকারির ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ দিন চিকিৎসায় থেকে দেওয়ার খসরু ইয়ার চৌধুরী (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি মারা গেছেন। খসরু উপজেলার ফতেপুর দেওয়ান পাড়া গ্রামের দেওয়ান মুশফিক ইয়ার চৌধুরীর ছেলে।
গত ৬ মার্চ নিজ বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটলে গত ১০ মার্চ খসরুর স্ত্রী হাফসা আক্তার বাদী হয়ে আ. কবিরেরনাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা দিয়ে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি আ. কবিরকে পুলিশ আটকও করে।
নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, খসরু দীর্ঘদিন যাবৎ একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি মদন পৌর সদরের আশকিপাড়া এলাকায় নিজ বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।
কোম্পানির নিয়মিত সাপ্তাহিক টাকা কালেকশন করে গত ৬ মার্চ রাতে বাসায় ফেরার সময় কলাপসেবল গেইটের তালা খোলা অবস্থায় চারপাঁচ জনের একটি দল টাকার ব্যাগ নিতে চায়। এসময় আ. কবির নামের একজন পেটে ছুড়ি ঢুকিয়ে দেয়। সাথে সাথে চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজনও চলে আসে। স্ত্রী হাফসা আক্তারও এসময় তার স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ছুরিকাঘাতকারী আ. কবির দৌড়ে পালাতে গিয়ে খসরুর স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
কবির বেশ কিছুদিন আগে খসরুর বাসায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করার কারণে স্ত্রী হাফসা তাকে চিনতে পেরেছেন। অন্যদেরকে চিনতে পারেননি। ওই সময় টাকার ব্যাগটি নিয়ে যায়। সেইসাথে কবিরের সাথে থাকা একটি জায়নামাজ ফেলে যায়। পরে প্রতিবেশি স্থানীয় স্বজনদের সহযোগিতায় খসরুকে উদ্ধার করে প্রথমে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ ১১ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে রাতে মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মদন থানার ওসি মুহাম্মাদ ফেরদৌস আলম জানান, আগের মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবেই রূপান্তিরিত হবে। নতুন করে মামলা দায়ের করতে হবে না। এ ঘটনায় আগে থেকেই একজনকে আটক ছিলো।