নিজেস্ব প্রতিবেদক…
প্রথম ধাপের পৌরসভার নির্বাচনে এই প্রথম কোন তৃতীয় লিঙ্গের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে অংশ নেয়া প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নেত্রকোনার মদন পৌরসভা নির্বাচনে ৩,৪,৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনে অংশ নেয়া সেঁজ্যোতি তালুকদার সোনালীকে বাধা দিয়ে মাইক ভাংচুরের করে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি মো. মাসুজ্জামান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমাদেরকে রাতেই জানিয়েছে আমরা নিজে গিয়ে দেখে এসেছি। কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে কোন সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনার হাওর উপজেলা মদনে ভিক্ষাবৃত্তি ও চাঁদাবাজি বাদ দিয়ে কাজ করে খাওয়ার প্রত্যয়ে বেশ কয়েকবছর ধরে তৃতীয় লিঙ্গের বেশ কজন মিলে স্বপ্নছোঁয়া নামে একটি মানবকল্যান কর্মমূখী সংস্থা করেছে। সেঁজ্যোতি তালুকদার সোনালী এই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।তিনি প্রথম ধাপের আসন্ন আগামী ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ৩,৪,৫ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা কাজে গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ৫ নং ওয়ার্ডের মদন কান্দা পাড়া মসজিদ সংলগ্ন রাস্তায় মুখে মাফলার বেঁধে কয়েকজন তার প্রচারণার গাড়িতে আক্রমণ করে।
প্রার্থী সেজ্যোতি তালুকদার সোনালী বলেন, হামলাকারীরা ভাংচুর করার সময় হুমকী দিয়ে বলেন ৫ নং ওয়ার্ডে পপি আক্তার সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থীকে সিলেকশন দেওয়া হয়েছে। এ এলাকায় অন্য কেহ নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে না। তারা আরো হুমকি প্রদান করে পরবর্তীতে প্রচারণায় আসলে গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হবে। এর আগেও পোষ্টার ছিড়ে ফেলেছে। এবার মাইক ভেঙ্গে ফেলেছে।
তিনি আরো বলেন, আমি আতঙ্কে আছি ওই এলাকায় প্রচারণা করতে গেলে আমার উপর হামলাও হতে পারে। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংগঠনের সভাপতি জয়িতা অনন্যা তালুকদার বলেনআমরা ঘটনার সাথে সাথেই থানায় এবং নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। ওসি সাহেব নিজে এসেছেন। নির্বাচন অফিসার বলেছেন আগামী রবিবারে লিখিত দিতে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ৫ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী পপি আক্তার বলেন, আমিও রাতে ১০ টার দিকে প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার সময় এমন একটি খবর পাই। পরে গিয়ে এনামুল নামের একজনকে জিগেস করি তেমন কিছুই হয়নি। যা হয়েছে সেখানে নাকি এলাকার মুরুব্বিরা মীমাংসা করে দিয়েছেন। আমি নিজেও তাদের সভাপতিকে বাসায় এনে চা খাইয়ে আপ্যায়ন করেছি। কিছু ঘটে থাকলেও সেটি বড় কিছু নয়। এর জন্য সবাইকেই জানাতে হয় না।
আমি আরো উদ্যোগ নিয়েছি। আমার দুই ছেলেকে বলেছি দুপুর ২ টা থেকে রাত পর্যন্ত এলাকায় পাহাড়া দিতে। সোনালী যতক্ষণ এলাকায় প্রচারণা চালাবে ততক্ষন তাকে পাহাড়া দিবে যাতে কোন দুস্কৃতিকারী কিছু করতে না পারে।
নির্বাচন শেষে তো আমরা আমরাই থাকবো। তাই ঝগড়া আমি পছন্দ করি না। তিনি সবাইকে বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে অনুরোধ জানান।