Saturday, October 5, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদনেত্রকোনা সদর উপজেলানেত্রকোনার মোক্তারপাড়া মাঠে তৈরি হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’

নেত্রকোনার মোক্তারপাড়া মাঠে তৈরি হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’

শিল্পের শহর হিসেবে খ্যাত নেত্রকোনায় বহুমুখী সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তৈরি হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এমন উদ্যোগে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। শিল্পকলা একাডেমির অডিটরিয়াম নির্মাণের পাশাপাশি নান্দনিক স্থাপনা তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উপস্থাপিত প্রতিবেদন বাস্তবায়ন নিয়ে আশাবাদী স্থানীয়রা। এতে খেলাধুলা, বিনোদনসহ সৃজনশীল নানা কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে একই জায়গায়।
জেলা প্রশাসন বলছে, পরিত্যক্ত খাস জমির সদ্ব্যবহার এবং জেলার ক্রীড়া-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার প্রসার ঘটাতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মোক্তারপাড়ার ঐতিহাসিক এ মাঠে বেশ কয়েকবার এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করা এ জায়গাটি সংরক্ষণ কিংবা নতুন প্রজন্মকে জানানোর কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। শুধু মাঠই নয়, বিপুল পরিমাণ খাস জমিও বেদখল হয়েছে দিনে দিনে। অধ্যাপক ননী গোপালসহ মাঠে খেলতে আসা অনেকেই জানান, শহরবাসীর বিনোদন ও হাঁটাচলার জন্য খোলা জায়গা নেই বললেই চলে। তাই ও জায়গাগুলোর সদ্ব্যবহারের দাবি তাদের।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, জনগণের দাবির কথা বিবেচনায় রেখে বঙ্গবন্ধু চত্বর নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি থ্রিডি ভিডিও নকশা সাংবাদিক, স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হয়। আমরা বেশ কয়েকটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের পরামর্শ নিয়েছি এবং পরামর্শ নিয়েই ৫ থেকে ৬ জন প্রকৌশলী নিয়ে আমরা এটি করিয়েছি।

পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান জানান, এটি বাস্তবায়ন হলে যেমন নেত্রকোনা সৌন্দর্যের শহরে রূপান্তর হবে। শহরের নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে চিনে এবং জেনে বেড়ে উঠবে একটি পরিছন্ন নগরীতে। শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু করে মোক্তারপাড়া মাঠ ও জেলা প্রশাসক বাসভবন সংলগ্ন পৌর পুকুরটিকে দৃষ্টিনন্দন করে মানুষের বিনোদনের স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, পুরো এলাকাটি জুড়েই থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ ও জাতি গঠনে বিভিন্ন সচিত্র ইতিহাস। সঙ্গে থাকবে সাহিত্য চর্চার জন্য জাদুঘর। এতে জেলার আদিবাসীসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য-উপাত্তও সংরক্ষণ করা হবে। আমরা একদিকে জাতির পিতার স্মৃতি রাখতে পারব, স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে পারব এবং শিক্ষা, সাহিত্য গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তিনি আরো জানান, এ প্রকল্পে ৬ একর জায়গায় প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments