নেত্রকোনার সীমান্ত এলাকায় সুপারি পাচারকালে দূর্গাপুরের বারোমারি লক্ষীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম (৩০) নামের এক চোরকারবারি গুলিতে নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে জায়দুল নামের আরও এক ব্যবসায়ী (৩৮)।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাতে দুর্গাপুর উপজেলার বারোমারি লক্ষীপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। এসময় চোরকারবারীদের হামলায় বারোমারি বিওপির হাবিলদার মো. মিনহাজ উদ্দিন আহত (৫৩) হলে বিজিবি আত্মরক্ষার্তে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ার বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত ৩১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আরিফুর রহমান পিএসসি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও জানান, বাংরাদেশের অভ্যন্তরে লক্ষীপুর নামক স্থানে রাতে সংঘবদ্ধ একটি চোরাকারবারি দল সুপারি মাথায় করে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করছিল। বিজিবি’র টহল দল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে চোরাকারবারিরা টহল দলের উপর দেশীয় অস্ত্র দা ও লাঠিসোটাসহ হামলা করে বিজির উপর। আক্রমণের এক পর্যায়ে টহল কমান্ডার হাবিলদার মো. মিনহাজ উদ্দিনকে দা দিয়ে কোপ দেয়। এসময় জখম অবস্থায় দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পরবতীর্তে তাদেরকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক আমিনুলকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য চোরাকারবারি ও আহত বিজিবি সদস্যকে ময়মনসিংহ প্রেরণ করে। ঘটনাস্থল থেকে ৭ বস্তা সুপারি জব্দ করেছে বিজিবি।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, বিজিবিকে ম্যানেজ করেই প্রতিনিয়ত এসকল চোরাচালান হয়ে আসছিলো। বাধ সাধে চুক্তির সাথে মিল না থাকায়। এর জেরেই এই ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবির গাড়িতে করেই লাশ এবং আহতদের নেয়া হয় হাসপাতালে।
নিহত আমিনুলের পিতা আব্দুল বারেক অভিযোগ করেন, লেবারের কাজ করা ছেলে ইফতার করছিলো ঘরে। এসময় চোরাকারবারি মোসলেম এসে ডাক দেয়। তাদের বস্তা তুলে তারের ্ওপারে দিয়ে আসার জন্য। ওপারে গারো বাড়িতে ২০/২৫ জন বস্তা নামিয়ে আসার সময় একটি গুলি করে। পরে পাবলিক ধরলে আরেকটি গুলি করে। দৌড়ে গিয়ে দেখি আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। তিনি আরও বলেন বিজিবিকে টাকা দিয়েই প্রতিনিয়ত মালামাল যায় আসে। যখন তাদের টাকা বেশি লাগে বা উপর থেকে ঠেলা খায় তখন ধরে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মিডিয়া লুৎফর রহমান জানান, সীমান্তে সংঘর্ষ হয়ে গুলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।