নেত্রকোনায় ঈদের প্রধান জামাতে অব্যবস্থপনার জন্য বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক। সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদর মো. সেলিম মিঞাকে প্রধান করে মসজিদ কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী ও ঈদগাহ কমিটির সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল লতিফকে নিয়ে এই কমিটি গঠিত হয়।
রবিবার কমিটি প্রধান মো. সেলিম মিঞা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান গত শুক্রবার দুপুরেই জুম্মা নামাজের পরে সকল কমিটি নিয়ে এক জরুরী বৈঠকে এই কমিটি গঠন করে দেন। দ্রুত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
মসজিদ ও ঈদগাহ কমিটির সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে সরকার সকল ঈদের জামাত মসজিদে মসজিদে আদায় করার নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক নেত্রকোনা জেলা শহরের মোক্তাপাড়ায় জামে বড় মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল নয়টায়।
এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খানসহ শহরের বিশিষ্ট জনরা নামাজ আদায় করেন।
ফলে প্রতিবছরের ন্যায় ঈদের আগের দিন রাতে জেলা প্রশাসক গঠিত ঈদগাহ কমিটি ও মসজিদ কমিটিকে নিয়ে মসজিদ পরিদর্শন করেন। এসময় সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ঈদের দিন সকাল নয়টায় প্রধান এবং প্রথম জামাত শুরু হওয়ার সময় মাইকের আওয়াজ চলে যায়। এতে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। করোনাকালেও প্রায় সহশ্রাধিক মানুষ কয়েকতলা বিশিষ্ট মসজিদ এবং মাঠ চত্বর ও রাস্তায় নামাজে দাড়াঁন। কিন্তু কিছুই শুনতে না পেয়ে জামাতে আসা মুসুল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকেই নামাজ রেখে চলে যান। সেইসাথে কমিটিগুলোকে গালাগালসহ প্রশাসনের দিকে অব্যবস্থাপনার আঙ্গুল তুলেন।
এ নিয়ে ক্ষব্ধ প্রতিক্রিয় সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে মসজিদ কমিটি খোঁজ নিয়ে দেখেন মাইক সহ সকল কিছু পুনরায় ঠিকঠাক রয়েছে। এ নিয়ে সকলের মধ্যে আরো ক্ষোভের সঞ্চার হয়। মসজিদ কমিটির এইচ আর খান পাঠান সাকিসহ অন্যরা বলেন, এটি ষড়যন্ত্রমূলক হতে পারে। আগের দিন রাতেও সব ঠিক। পরেরদিন সকালেই জামাতের আগে এমন সমস্যা ও পরেই আবার জুম্মার আগে ঠিক হয়ে গেলো কি করে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার দাবী জানান। এরপর জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানের সভাপত্তিত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।