প্রত্যেক প্রাণিই তার নিজ নিজ অবস্থান ছাড়া বেমানান। তেমনি আকাশের উড়ন্ত পাখিরা মাটিতে থাকাও মানায় না। আর এমন একটি বেমানান ঘটনাই ঘটেছে নেত্রকোনায়।
শুক্রবার দুপুরে উড়তে থাকা এটি বড় পাখি বিদ্যুতের তারে আঘাত লেগে মাটিতে পড়ে যায়। উড়ন্ত এমন পাখিকে পড়ে থাকতে দেখে মানুষেরও ভালো লাগে না। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাখিটিকে একটি গাছের ডালে বসিয়ে দেয়। ডানা ঝাপটানো পাখিটি মানুষের কাছে এসে পড়ে গিয়ে বুঝতে পারছেনা সে নিরাপদ নাকি অনিরাপদ। এদিকে এতো বড় পাখি মানুষের হাতের নাগালে দেখে অনেকই ভিড় জমায় পাখিটি দেখতে। শিশুদের মধ্যে দুষ্টুরা ঢিল ছুড়লেও বড়রা তেমন বিরক্ত করছে না। তবে পাখি চোখ দিয়ে সব টাহর করছে। ছোট থেকে বড় কোন মানুষই বাদ পড়েনি কেউ আহত পাখিটিকে দেখতে আসতে। দেখতে এসে বিভিন্ন জন বিভিন্ন নাম বলছেন পাখিটির।
এসময় তারা দাবী জানান, সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে চিকিৎিসা দিয়ে আকাশের পাখিকে আকাশেই উড়তে দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার। শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকায় উদ্ধার হওয়া পাখিটিকে স্থানীয়রা মগড়া নদীর পাড়ে একটি গাছের উপর রেখে দেন। পাখির পায়ে এবং ডানায় বড় ধরনের আঘাত পাওয়ায় সে উড়তে পারেনি।
বিষয়টি সাংবাদিক আলপনা বেগমের নজরে আসলে তিনি প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা জানান এটি বন বিভাগের দ্বায়িত্ব। তবে চিকিৎসা দেবেন তারাই। এরপর জেলার বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি পাখিটি পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ করেন। পরে সাংবাদিক নিজেই পাখিটিকে পৌঁছে দেন। শহরের জয়নগর এলাকায় বন বিভাগের মোহনগঞ্জ বন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আহসান পাখিটি বুঝে নিয়ে সু-চিকিৎসার আশ্বাস দেন।
এসময় তিনি বলেন, এটি প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতির বড় একটি চিল। এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই। তাই এটিকে চিকিৎসা দিয়ে পড়ে অবমুক্ত করা হবে। এসময় তিনি গত কয়েকদিন আগে উদ্ধার হওয়া একটি বড় শকুনকেও চিকিৎসা দিচ্ছেন বরে জানান।