নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিটে নিতে নিতে ভাইদের কোলে ঢলে পড়লেন জবা (৪৫) নামের করোনা শনাক্ত বোনটি। আজ রবিবার সন্ধ্যায় জবা নামের এক নারীকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে এ মৃত্যু হয়। তিনি অজহর রোডের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
ভাই মাহবুব খান ও রুবেল জানান, তাদের বোন গত তিন চারদিন ধরে সর্দিজ¦রে আক্রান্ত। আজ রবিবার সকালে জবাকে করোনা পরীক্ষা করালে তা পজিটিভ আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা। কিন্তু হাসপাতালে ডাক্তার নার্স কেউই কাছে আসছিলো না বলেও অভিযোগ করেন। এভাবে ঘন্টাখানেক রোগটিকে নিয়ে অবশেষে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক করোনা ইউনিটে পাঠান। কিন্তু একে তো তিনতলা। অন্যদিকে কলাপসেবল গেইট বন্ধসহ যাওয়ার দ্রæত রাস্তা না থাকায় রোগীটি তাদের হাতেই মারা যায়। এই পর্যন্ত কোন অক্সিজেনও দেয়া হয়নি। এভাবেই অবহেলায় বোনটি মারা যায়।
এদিকে মৃতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার জিম্মিত দারু। তিনি বলেন রোগী দেখেই দ্রæত ইউনিটে পাঠিয়েছেন। ওই বিষয়টি তিনি জানেন না।
এদিকে করোনা ইউনিটের কর্তব্যরত ডাক্তার তানভীর হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপপ্রচার করবেন না। পরবর্তীতে আবার তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে বলেন আমরা সার্বিক চেষ্টা করছি।
এদিকে একই সময়ে সদরের খায়ের বাংলা এলাকা থেকে শ^াসকষ্ট জনিত ৭৫ বছর বয়সী নুরুল ইসলামকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের পাশের অক্সিজেন কক্ষে অক্স্জিন দিতে দিতে তিনিও মারা যান।
অন্যদিকে জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার মানশ্রী গ্রামের করোনা শনাক্ত কোকিলা (৩৩) ও কচুয়ারচর গ্রামের মঞ্জু ময়িা (৫০) এর মৃত্যু হয়। দুপুরে মঞ্জু মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে বিকালে ময়মনসিংহ নেয়ার পথে তিনি মারা যান। অন্যদিকে সন্ধ্যায় কোকিলা নিজ বাড়িতেই মারা গেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আহসানুল কবির রিয়াদ জানান, জেলা সদরে গত ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ৫১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২৫ জনই করোনা পজিটিভ হয়েছে। আধুনিক সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আজ পর্যন্ত ১১ জন রোগী ভর্তি আছেন।