নেত্রকোনায় ছেলের পেশাগত চুরির কারণে মায়ের মৃত্যুর সৎকারে এগিয়ে আসেনি গ্রামবাসী। এমন অবস্থায় মানবিক দিক বিবেচনায় এগিয়ে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৪ আগস্ট) জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বাউসারী গ্রামে। এদিকে চেয়ারম্যান একে এম হাদিছুজ্জামান হাদিসের এমন মানবিকতায় প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড় খাপন ইউপির বাউসারী গ্রামের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ তালুকদারের ৫ মেয়ে ও একটি মাত্র ছেলে রাজিব তালুকদার (২৭)। যার একমাত্র পেশা চুরি। আর এই চুরির ঘটনায় গত সোমবার রাজিবকে পুলিশ আটক করে কোর্টে সোপদ করে। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী রাজিবকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যাবার সময় কৌশলে সে হাতকড়া ফসকে পালিয়ে যায়। পরদিন সোমবার ফের আটক করে আরো একটি মামলা দিয়ে মঙ্গলবার কোর্টে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে রাজিবের মা ঝরনা তালুকদার (৫৫) দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভোগে বুধবার সকালে মারা যান। এদিকে চোরের মায়ের সৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে এমন খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নিজে ছুটে যান। পরিশেষে মৃতের আত্মীয়দের নিয়ে সৎকার সম্পন্ন করেন।
বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে গেলে এলাকাবাসী আবার প্রশংসাও করছেন চেয়ারম্যানে। তবে কোন পরিবার থেকে কেউ যেনো চুরিসহ জঘন্য কাজে পা না বাাড়ায় সে জন্য গ্রামবাসী এমন জেদ ধরেছেন।
তারা জানান, পরিবার ইচ্ছে করলেই তার সন্তানকে ভালো পথে দেখাতে পারেন। না পারলে সকলের সহযোগিতা চাইতে পারেন। কিন্তু যারা এমনটি না করে সন্তানদের খারাপ কাজে বাধা না দিয়ে বাঁচাতে চেষ্টা করেন তাদের সাথে সকলের সম্পর্ক ছিহ্ন করাই সামাজিক একটি উদ্যোগ বলে মনে করেন গ্রামের নৃপেন্দ্র সহ আরো অনেকে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান একে এম হাদিছুজ্জামান হাদিস জানান, আমার এটি দ্বায়িত্ব। তিনি যে ই হোন তার কাজেই এগিয়ে যেতে হবে। তবে গ্রামবাসীও অনেক আন্তরিক। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাজিবের চুরির কারনে অতিষ্ট হয়ে ক্ষোভে দুঃখে এই জেদ ধরেছে।