সোহান আহমেদ:
ট্রেন থাকলেও নেই পর্যাপ্ত টিকেট। প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে নেত্রকোনার কয়েক লক্ষাধিক রেলযাত্রী। দুটি আন্তঃনগর ট্রেনে চলাচল করলেও জেলা শহরে টিকেটে দেয়া হয়েছে মাত্র ২শত। এমতাবস্থায় চালু হয়েছে অনলাইনে টিকিট বিক্রি। চাহিদা থাকলেও টিকিট বরাদ্ধ না থাকায় মেটানো সম্ভব হচ্ছেনা বলছেন সংস্লিষ্টরা।
যদিও অতিরিক্ত অর্থে বাহির থেকে মিলছে টিকিট অভিযোগ ভুক্তভোগী স্থানীয়দের। জানা গেছে, বৃটিশ আমল থেকেই ট্রেনে চড়ে অভ্যস্থ নেত্রকোনার ১০ উপজেলাসহ পার্শবর্তী সুনামগঞ্জের বেশকটি হাওরাঞ্চলের কয়েকলাখ মানুষ। রাজধানীর সাথে যোগাযোগে স্বল্প ব্যায়ে স্বস্তির বাহন হিসেবে পরিচিত ও জনপ্রিয় রেল পথ। এমন চাহিদা থেকেই ঢাকা মোহনগঞ্জ রুটে চালু রয়েছে দুটি আন্তঃনগরসহ ৫ টি ট্রেন সার্ভিস। কিন্তু আন্তনগর ট্রেন চালু হলেও বরাদ্ধ হয়নি পর্যাপ্ত টিকিট।
বেশিরভাগ টিকিট দেয়া হয় ময়মনসিংহ ও গফুরগাওয়ে। ফলে টিকিট পেতে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারন যাত্রীরা। এমতাবস্থার মধ্যেইে মোহগঞ্জের পর নেত্রকোনা বড় স্টেশনেও চালু হয়েছে অনলাইনে টিকিট বিক্রি। সিমিত বরাদ্দের অর্ধেক টিকিট এখন বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। এতেও রয়েছে সুভঙ্করের ফাকি।
স্থানীয় একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, ৫দিন আগেই অনলাইনে ছাড়া হচ্ছে টিকিট। এই সুযোগে অসাদু সিন্ডিকেট কিনে নিচ্ছে সব টিকিট। পরে সেই টিকিট বাহির থেকে অতিরিক্ত মূল্যে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারন যাত্রীরা।
এদিকে প্রায় প্রতিদিন যাত্রীদে চাপে হিমশিম খাচ্ছেন সংস্লিষ্টরা জানান, চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত টিকিট বরাদ্ধ না থাকায় টিকিট দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা এই সমস্যার সমাধানে উর্ধত্বন বরাবর বাবাবর চিঠি লিখলেও অদ্যবধি কোন হয়নি জানিয়েছেন নেত্রকোনা বড় স্টেশন মাষ্টার নাজমুল হক খান। রেলওয়ের তথ্যমতে, নেত্রকোনার ৫টি স্টেশনে দুটি আন্তনগর ট্রেনে টিকিট বরাদ্ধ রয়েছে মাত্র ৬৬০ টি।
এরমাঝে জেলা শহরের বড় স্টেশন হইতে ঢাকা পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনের আসন সংখ্যা মাত্র ২৪৪ টি। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। যাত্রী দূর্ভোগ কমাতে পর্যাপ্ত টিকিট বারাদ্ধে ব্যবস্তা নিবেন রেল কতৃপক্ষ এমটাই প্রত্যাশা জেলাবাসীর।