নেত্রকোনা জেলায় গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে একজনের। শনাক্তদের মধ্যে নয়জন পুরুষ ও নয়জন নারী রয়েছেন। এছাড়াও জেলার সদর আটপাড়াসহ মোট চারজন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর আগের দিন মঙ্গলবার (২২ জুন) শনাক্ত হয়েছে ২৩ জনের।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আক্রান্তরা হচ্ছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলায় সাতজন, কলমাকান্দা উপজেলায় ছয়জন, বারহাট্টা উপজেলায় একজন এবং কেন্দুয়া উপজেলায় একজন। তবে কেন্দুয়া উপজেলায় শনাক্ত একজন নারী ফাতেমা তিনি ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই নারী কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিযনের কৈলাটি গ্রামের বাসিন্দা ফাতেমা (২৫)। পরবর্তীতে নমুনা শনাক্ত রিপোর্ট আসে তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন খন্দকার জানান, কেন্দুয়া উপজেলার ওই নারী আগে থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা করছিলেন। পরে মারা গেলে নুমুনা পজেটিভ আসে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এলাকায় খোঁজ নেয়া হচ্ছে লাশ নিয়ে আসলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেনো তারা দাফন করে আমরা সেদিকে খেয়াল রাখবো।
তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে জেলার সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। অন্যান্যদের সাথে কথা বললে তারা জানান তিনি মিটিংয়ে রয়েছেন।
এদিকে গত চব্বিশ ঘন্টায় ময়মনসিংহ ল্যাবে ৪৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তারমধ্যে শনাক্ত তিনজন। জেলায় এক্সপার্ট জিন টেষ্ট করা হয়েছে আটজনের তারমধ্যে শনাক্ত একজন। এছাড়া জেলায় র্যাপিড টেষ্ট করা হয়েছে ৪৪ জনের। তারমধ্যে শনাক্তকৃত ১৪ জন। মোট শনাক্তকৃত ১৮ জন।
নেত্রকোনা জেলা থেকে পাঠানো মোট নমুনার সংখ্যা- ৯০+০৬=৯৬ টি। (ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে স্যাম্পল দিয়েছেন-০৬ জন)।
এ পর্যন্ত পরীক্ষাগারে মোট নমুনার সংখ্যা ১৮০৯৭ টি। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১৭৭৫৪ টির। জেলায় শনাক্তকৃত সর্বমোট ১৩৫৬ জন। (৭.৬৪%)। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১২৭ জন। (৮৩.৯১%)।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, নেত্রকোনার সীমান্ত কলমাকান্দা উপজেলারও রংছাতি ইউনিয়ন ও দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের চলমান লকডাউনের আওতায় রাখা বিধি নিষেধ পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।