নেত্রকোনা পৌর শহরের ছোট বাজারস্থ শহীদ মিনার সংলগ্ন একটি বাসা থেকে ঝুমা আক্তার নামে ‘ল’ কলেজের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় পুলিশের ৯৯৯ এ একটি ফোন কলের মাধ্যমে লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।
ঝুমা স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমের তিন মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় মেয়ে। তিনি নেত্রকোনা ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী ও নাগড়া এলাকার মীর বাড়ির মুখশেদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলমের প্রথম স্ত্রী ও তিন কন্যা শহীদ মিনারের বাসায় থাকতেন। গত ২০২০ সনের জানুয়ারি মাসে বিয়ে হয় ঝুমার। স্বামীর অত্যাচারে মায়ের কাছেই থাকতো বেশি সময়। এরপর তার গর্ভে একটি সন্তান আসলে স্বামীর অত্যাচারে বাচ্চাটি নষ্ট হয়ে যায়।
এছাড়াও ঝুমার জন্ডিস ধরা পড়লে বাবার বাড়ি চলে আসে চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে তার মা বেশ কিছুদিন আগে সদও উপজেলার লক্ষিগঞ্জ ইউনিয়নের ওয়াইল পাড়া গ্রামে চলে যান। বাসায় ছিলো ঝুমার জমজ ছোটবোন রুমা। গত সেমাবার রুমাও গ্রামের বাড়িতে মাকে আনতে যান। অন্যদিকে বড় আরেকটি বোন শ^শুর বাড়িতে থাকে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ঝুমার স্বামী বোন জামাই মামুন ফোন দিয়ে রুমাকে জানায় বাসায় আসতে। তার বোন পাগলামি করছে। পরে বাড়ি থেকে আসতে আসতে সন্ধ্যায় এসে ভেতর থেকে দরজা আটকানো দেখে আশপাশের মানুষকে বললে তারা পুলিশের ৯৯৯ এ কল করেন। নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ এসে বিভিন্ন কৌশলে অন্য ঘর দিয়ে ভেতরে ঢুকে ঘরের দরজা খুলে লাশ উদ্ধার করে।
ঝুমার বোন রুমা জানায়, তার বোন জামাই বোনকে অত্যাচার করার কারেণে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলো। তারপরও নানাভাবে মারধর সহ নানা অত্যাচার করতো। পেটের বাচ্চা নষ্ট কওে ফেলেছে মারধর করে। যে কারনে তার বোন মারত্মক অসুস্থ হয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদের নেতৃত্বে ওসি তদন্ত সোহেল রানা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে জানান সুরতহাল করা হয়েছে। লাশটি ফ্যানের সাথে ওড়না লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলো। ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।