নেত্রকোনার পৌর শহরের কাটলী এলাকায় নির্মাণধীন বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে নীচে পড়ে গিয়ে জহিরুল (১৮) নামের এক কিশোর নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরের পশ্চিম কাটলী এলাকায় রিয়াজুল আলম খান রাজন নামের এক ব্যাক্তির নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিক জহিরুল জেলার পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ নিবাসী বাবুল মিয়ার ছেলে। সে তার মায়ের সাথে নেত্রকোনা পৌর শহরের পশ্চিম কাটলী এলাকায় নানার বাড়িতে থাকতো। সেইসাথে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো।
স্থানীয়রা জানান, রাজনের বিল্ডিংয়ে শ্রমিকের কাজ করছিলো জহিরুল। বুধবার দুপুরে কাজ করার সময় পানি খেতে উপরে ওঠে। এরপর সেখান থেকে হঠাৎ নীচে পড়ে যায়।
এসময় অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার ইছহাক আলী মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকার নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় জন প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান। তবে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়।
হাসপাতালে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্ধা আওয়ামীলীগের নেতা আবুল মনসুর জানান, ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে যদি মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে মারা যেয়ে থাকে এটি এক্সিডেন্ট। আর যদি কারো গাফিলতি থেকে থাকে সেটি দেখা হবে। তবে কেউ যেনো অযথা হয়রানী না হয় সেটির বিষয়ে তিনি উল্লেখ করনে। ছেলেটি মায়ের সাথে নানার বাড়ি থাকতো। মা আধা পাগল বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপস্থিত নেত্রকোনা পৌর সভার স্থানীয় কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র-২ শেখ হেলাল জানান, শুনেছি পানি খেতে উঠেছিলো ছেলেটি এরপর পড়ে গেছে। আমরা এসেছি এই বিষয়টি দেখছি কিভাবে কি ব্যাবস্থা নেয়া যায়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছেলেটি ওই এলাকার রিয়াজুল আলম খান রাজনের বিল্ডিংয়ের কাজ করছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।