নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত ৩য় ধাপের ইউপি নির্বাচন শেষে পরাজিত ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও আহত করার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রার্থীর বড় ভাই। সোমবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আহতের বড় ভাই সাংবাদিক দেলোয়ার হাসান। এসময় তিনি পরিবারের অন্যান্য নারী সদস্যদের নিয়ে সাংবাদিকদে সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কাজলা গ্রামে ইউপি সদস্য হিসেবে তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন তার ছোট ভাই বাহার উদ্দিন তাদুলকদার। কিন্তু গতকাল রবিবার ভোট গ্রহণ শেষে রাতে গণণা সমাপ্ত হলে মিছিল নিয়ে প্রতিবেশি ফুটবল প্রতীকের বিজয়ী ইউপি মো. আলমের কর্মী সমর্থকরা অতর্কিতে হামলা চালায়।
পরপর দুবার মিছিল নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও মারধর করলে প্রার্থীসহ মোট ৪ জন আহত হন। পরে এলাকায় পুলিশ যাওয়ার খবরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পূর্বধলা স্বাস্ত্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। এ ঘটনার সুষ্টু বিচার দাবী করে প্রার্থীর পক্ষে ভাই বোন ও ভাগনি ভাজতি সংবাদ সম্মেলনটি করেছেন।
তারা আরো জানান, ওই ওয়ার্ডটিতে মোট ভোটার ছিলো ২২০০। সেখান থেকে ফুটবল ৫ শাতাধিক ভোট পেয়ে বিজয়ী হলেও ৭০ ভোট পাওয়া পরাজিত প্রার্থীর বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে করে প্রার্থী নিজে সহ আরো কয়েকজন আহত হয়। আবুল কাশেম ও জিয়া উদ্দিন নামে দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেলেও গুরুতর আহত রয়েছেন প্রার্থী বাহার উদ্দিন তালুকদার ও আলমগীর হোসেন। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত প্রার্থীর বোন আকলিমা নাজমা, ভাগনি জাকিয়া ইসলাম ও ভাজতি দাহেকা আনজুম সাদিয়া বলেন মিছিল নিয়ে এমনভাবে তারা অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করেছে যে আমরা আতঙ্কিত ছিলাম। পরে পাশের বাড়িঘরের অন্যরা এবং পুলিশ আসায় আমরা বেচে গেছি। তবে তাদের দলের লোকজন প্রথমে পুলিশকে ভুল পথ দেখিয়ে দিয়ে আবারো হামলা চালায়। মোবাইল সহ অনেক কিছু তারা নিয়ে গেছে। এলাকায় অধিপত্য বিস্তার করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলেও তারা জানান।