আসন্ন ঈদুল আযহায় নেত্রকোনায় কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতারা হাটে হাটে ঘুরলেও দামে বনিবনা না হওয়ায় কিনছেন না বেশির ভাগ ক্রেতাই। তবে পাইকার এবং গুরুর দালালরা ভালো দামেই কিনে নিচ্ছেন গরু। এদিকে চড়া দাম হওয়ায় গরু পছন্দ হলেও কেনা হচ্ছে না স্থানীয় ক্রেতাদের। হাটগুলোতে নেই কোন স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা।
নেত্রকোনা জেলায় স্থায়ী গরুর হাট রয়েছে মোট ৩৩ টি। কিন্তু কোরবানির জন্য পশু কেনা বেচা করতে জেলা প্রশাসন থেকে দেয়া হয়েছে আরো ১৩৬ টি অস্থায়ী হাটের অনুমোদন। এসকল স্থায়ী এবং অস্থায়ী হাটে লকডাউন চলাকালীন সময়েও কোথাও কোথাও হাট বসিয়েছে। আবার প্রশাসনের খবর পেয়ে হাট ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার হলেও জেলার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী, সদরের চল্লিশাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসে পশুর হাট। তেলিগাতি বাজার এবং পাশের প্রাইমারি স্কুলে বসানো হাটে পশু নিয়ে আসলেও অনেক চড়া দাম চেয়েছেন গরুর মালিক খামারিরা। এদিকে পাশাপাশি দুটো হাট হওয়ায় কেউ কেউ বলছেন এই জন্য বেচা বিক্রি কম। অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মদন সড়কের বটতলা হাটেও একই অবস্থা গুরুর দাম চড়া। যে কারেন ক্রেতা কম। অন্যদিকে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গরুর পাইকাররা আবার কিনে নিচ্ছেন গরু। সে হিসেবে স্থানীয়রা এই বাজারে কিনতে পারছেনা। ফলে আর হয়তো বাকি দুটো হাট সামনে পেতে পারেন। সেসময় হয়তো আবার হাটে যাবেন তারা। এমনটিই জানালেন বাজার ঘুরে আসা ক্রেতা রফিকুল। তিনি বলেন গরুর দাম অনেক বেশি।
এদিকে রহমত আলী নামের বিক্রেতা বললেন পশু পালনে যে খরচ সেগুলোই এবার উঠে কিনা সন্দেহ।
বাজার পরা। মানুষ কিনতে অসছে। কিন্তু দরদাম করেও না কিনেই ফিরে যাচ্ছে বেশিরভাগ।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোরঞ্জন ধর জানান, জেলায় পশু রয়েছে ৯৮ হাজার ৪১৪ টি। চাহিদা রয়েছে ৯১ হাজারের উপরে। অনলাইনেও ভালো বেচা বিক্রি চলছে বলে তিনি জানান। তবে দাম নিয়ে বলেন, এটি তো পশুর মালিকদের ব্যাপার। তারপরও মনে হয় শুরুর দিকে হয়তো একটু বাড়তি থাকতে পরে। পরে কমে আসবে।