নেত্রকোনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্বামীর বন্ধু সুভাস মিয়াকে (৩৪) সোমবার সন্ধ্যায় আটক করেছে মডেল থানার পুলিশ। এর আগে গত শনিবার সকালে নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কাংসা গুচ্ছ গ্রাম থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসী রিপন মিয়ার স্ত্রী শরীফার নিজ ঘর থেকে গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বোন হিরামনি বাদী হয়ে মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সুভাসকে আটক করেছি। সুভাস মালয়েশিয়া প্রবাসী রিপনের বন্ধু এবং রিপনের পাঠানো টাকা পয়সা তার নামেই আসতো। সুভাস একই এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে। সেই সুবাদে বন্ধুর স্ত্রী শরীফার সাথে সম্পর্ক হয়।
তিনি আরো জানান, বন্ধুত্বের খাতিরে টাকা পয়সার লেনদেন করতে করতে শরীফার সাথে অনৈতিক সসম্পর্কে জড়িয়ে যান সুভাস। এসব নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে গরু জবাই করার ছুরি দিয়ে শনিবার ভোর রাতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গলায় পুজ দিয়ে দরজা খুলে পালিয়ে যায়। এদিকে মায়ের সাথে এক বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা কিশোরী মেয়ের গায়ে ভেজা লাগলে ওঠে দেখে মায়ের গলা কাটা অবস্থা। পরে তার চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের মানুষজন ছুটে এসে ঘটনা দেখে পুলিশকে খবর দেয়। মডেল থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এসময় নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশের পাশাপাশি ময়মনসিংহের সিআইডির চৌকস একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, ঘটনাস্থলে সিঁধ কাটা এবং সার্বিক আলামত জব্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসা বাদ করে মোবাইলসহ সবকিছু পর্যালোচনা করে গত দুইদিন ধরে মামলার তদন্ত করে পুলিশ সুপার মো আকবর আলী মুনসীর দিক নির্দেশনায় ঘটনার মূল হোতা সুভাষকে গ্রেফতার করা হয়। প্রবাসী রিপন মিয়ার ব্যাংক একাউন্ট ছিলো সুভাসের নামে।