নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও কেন্দুয়া পৌরসভায় ২য় ধাপের পৌর নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। মোহনগঞ্জ পৌর সভার ২ ও ৮ নং ওয়ার্ড সহ ৫ নং ওয়ার্ডে দুপুর থেকে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ বিজিবি মোতায়েন করে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। শনিবার কেন্দুয়া পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হলেও মোহনগঞ্জে হয়েছে ব্যালটে।
মোহনগঞ্জের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোটার কম থাকলেও দুপুরের দিকে কিছুটা উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তখন থেকে শুরু হয় বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
২ নং ওয়ার্ডের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কাউন্সিলর পদপ্রার্থ ী শফিকুল আলম চৌধুরী ওরফে সবুজ মাস্টারের পক্ষে জাল ভোটের অভিযোগে সংঘর্ষ ঘটে। লাটিসোটা নিয়ে সমর্থকরা মাঠেই জরো হয়। এসময় অভিযুক্ত প্রাথর্ীর সমর্থকদেরকে মারধর করে অন্য প্রাথর্ী ও সমর্থকরা।
অন্যদিকে একই সময়ে ৮ নং ওয়ার্ডে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যায়লয় কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রাথর্ী আওয়ামীলীগের সভাপতি গ্রুপের আল্লাদ মিয়ার প্রবেশকে কেন্দ্র করে বাইরে থেকে সম্পাদক গ্রুপের কামাল হোসেন রতনসহ অন্যান্য প্রাথর্ীদের সমর্থকরা ধাওয়া করে বিদ্যালয় মাঠে ঢুকে ভাংচুর শুরু করে।
পরে জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন বিজিবি র্যাব সহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে। এদিকে মাইলোরা সহ এক কিলোমিটার এলাকায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পৌরসভাটির ৫ নং ওয়ার্ডেও মেয়র সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এসকল ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর মোহনগঞ্জ পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডেই থমথমে অবস্থার বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করছি আর কোন বিশৃঙ্খলা হবে না।
৪ জন মেয়র প্রাথর্ী, সাধারণ কাউন্সিলর ৩৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোহনগঞ্জে মোট ৯টি ভোট কেন্দ্রের ৬৭টি ভোট কক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোট গ্রহণ। ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৪ শত ৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৪ শত ১৪, নারী ১০ হাজার ৯শত ৯১।