ঈদের আনন্দ শেষ এখন কাজে ফেরার পালা। তাই স্ত্রীসহ প্রতাপপুর থেকেই অটোরিকশায় নেত্রকোনা এসেছেন রফিক। ঢাকার গাজীপুর একটা কোম্পানিতে চাকুরিরত। আগামীকাল সকালে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে না পারলে চাকরি টিকবে না। লক ডাউন তো সরকারি চাকুরিজীবিদের জন্য। আমাদের জন্য নয়। যে কারনে বাড়তি টাকা গুণে গুণে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাচ্ছি। সব কিছুতে দিগুণ টাকা লাগছে। তবুও যেতে হচ্ছে বললেন তিনি।
এভাবেই নারীর টানে বাড়ি ফিরে ঈদ শেষে এখন কর্মস্থলে ফিরছে সব মানুষ। বিশেষ করে নিন্ম আয়ের মানুষেরা। শ্রমিক শ্রেণিই ৮০ ভাগ মানুষ। লক ডাউন উপেক্ষা করেই ঈদের চতুর্থ দিনে আজ সোমবার দুপুর থেকে নেত্রকোনা শহরের আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে দেখা গেছে এমন মানুষের ভির।
স্বাস্থ্য সচেতনতা বলতে তাদের কাছে কোন কিছু নেই। কারোরই নেই মুখে মাস্ক। গাড়ি চালক হেল্পার ও যাত্রী সহ সকলেই করোনা বলে কোন শব্দ চেনেন না তারা। করোনায় মরবে এমন ভয় নেই কারো চোখে মুখে। তবে চাকুরিতে না গেলে নির্ঘাত মরে যাবে এমন্টাই তাদের মুখে ভেসে উঠছে।
এদিকে দূর পাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাড়তি টাকা খরচ করে মানুষ চলছে নানা যান বাহনে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তারপরও কর্মস্থলে ফেরাই চাই।