করোনাকালে সীমিত ভাবেই নেত্রকোনায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে।
এবছর দিবসটি বড় আকারে উদযাপিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সীমিতভাবে পালিত হচ্ছে। যে কারনে মানুষের মাঝে কিছুটা দুঃখ বিরাজ করছে।
সূর্যোদয়ে সাথে সাথে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে একত্রিশবার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হয়।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জিয়া আহমেদ সুমন ও পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান ও কাউন্সিলর এস এম মহসীন আলম প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে নেত্রকোনা আধুনিক স্টেডিয়াম মাঠে পুলিশ, আনসার ভিডিপি, ফায়ারসার্ভিস ও বিএনসিসির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অভিবাদন গ্রহণ করেন পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী। সাথে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিডি এলজি) জিয়া আহমেদ সুমন।
তবে এ বছর করোনার জন্য স্টেডিয়াম মাঠে ছিলো না দর্শক উপস্থিতি। ছিলো না শিশু কিশোরদের পরিবেশনা।
এছাড়া মুক্তিযােদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পাবলিক হল মিলনায়তনে আলােচনা সভাসহ জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হয়।
এ ছাড়াও হাসপাতাল, জেলখানা,প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এছাড়াও জেলার প্রতিটি উপজেলায় সীমিত ভাবেই দিবসটি উদযাপন করা হয়।