সোহান আহমেদ:
দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রæপের পক্ষ থেকে নেত্রকোনায় ৭ শতাধিক হতদরিদ্র মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। হাড় কাঁপানো শীতের মাঝে বসুন্ধরার শীতবস্ত্র পেয়ে খুশি হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে দেশব্যাপী বসুন্ধরা গ্রুপের শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের নাগরিকরা। শীত মৌসুমের শুরু থেকেই দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় নেত্রকোনার পূর্বধলা ও সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দার ক্ষুদ্র নৃতাত্তি¡ক জাতিগোষ্ঠসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত সাত শতাধিক হতদরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কলমাকান্দা ও পূর্বধলা উপজেলার কালের কণ্ঠের সামাজিক সংগঠন শুভসংঘ এ বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করে।
সোমবার দুপুরে সীমান্তবর্তী আদিবাসী গ্রাম নলচাপরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে কম্বল বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শুভসংঘের সকল পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় শীতার্তরা বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে দেয়া মানসম্মত কম্বল হাতে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। ভবিষ্যতেও বসুন্ধরা গ্রুপের সাধারণ মানুষের কল্যাণে এভাবেই এগিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশাই করছেন স্থানীয়রা।
এছাড়াও পূর্বধলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে দুইশতাধিক নারী পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়। দেশব্যাপী বসুন্ধরা গ্রুপের শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ বিরল উল্লেখ করে দেশের অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকেও মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা।
এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চল শেষ করে এখন ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগীয় জেলাগুলোতে কম্বল বিতরন কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শুভসংঘে উপ সম্পাদক ও পরিচালক জাকারিয়া জামান। তিনি আরও জানান এ পর্যন্ত দেশের ৩২ জেলার অসংখ্য হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে শীর্ষ স্থানীয় ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রæপ। এ বছর ৬০ হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে বসুন্ধরা গ্রæপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র তুলে দেয়া হচ্ছে।