দীর্ঘ তিন বছর পর হলেও অসহনীয় যানযটের কবল থেকে শহরকে রেহাই দিতে অবশেষে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে পৌর কৃর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে দুই শিফটে প্রতিদিন ১২৬২টি করে লাইসেন্সধারী অটোর চলাচল। তবে নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটলে ট্রাফিক পুলিশের হস্তক্ষেপ নেবে পৌর কৃতৃপক্ষ।
শহরের মোক্তারপাড়া, শহীদ মিনার মোড়, তেরী বাজার, ছোট বাজার, থানার মোড় পর্যন্ত প্রতিদিন দেখা যায় দীর্ঘ যানযট। ট্রাফিক পুলিশেও পারে না তা পরিস্কার করতে। তবে শহরে অগনিত অটো রিকশা চলাচল করেলও পৌর কৃতৃপক্ষের দাবী এক সড়কের শহর দিয়ে সুনামগঞ্জ উপজেলার বিভিণœ মালামাল পরিবহনে ট্রাক, ভ্যানের কারনে এ যানযট। পৌর মেয়র বলছেন নতুন করে কোন লাইসেন্স দেয়া হয়নি।
তিন বছর ধরে ব্যাটারি চালিত অটো (ইজিবাইক) ২৩২৪ টি। রিক্সা রয়েছে ১৪০০ এবংা মিশুক ৯০০। বরং করোনা কালে তাদের থেকে নবায়ন ফি বাবদ ২৫০০ টাকা কম নেয়া হচ্ছে।
এদিকে চালকদের দাবী শহরে লাইসেন্স বিহীন অটো চলে অগনিত। গত প্রায় ৫ বছর ধরে প্রতিদিন নেত্রকোনা শহরে অটো চলাচল করে ১২ থেকে ১৫ হাজার। কিন্তু পৌর কতৃপক্ষ কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে দিন দিন বেড়েছে এসকল অটোর সংখ্যা। বরং শ্রমিক নেতা সেজে প্রতি অটো থেকে মোড়ে মোড়ে ১০ টাকা করে কুপন দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে অগনিত টাকা। যার জন্য এই অটো বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে এই শহরে।
তবে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চালকরা। সেইসাথে করোনাকালীন সময়ে লাইসেন্স ফি কমানোতে সন্তোষ প্রকাশ করেন মো. সাফায়েত সহ অনেকে। চলছে রঙ ও নাম্বার দেয়ার কাজ। প্রতিদিন অর্টিষ্টরা দুই থেকে আড়াইশ অটো রঙ করতে পারছেন বলে খুশি রিয়াদুল হক মনি সহ সাতজন রং মিস্ত্রিও।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহরে কোন বাইপাস সড়ক নেই। একটি মাত্র সড়ক দিয়ে জেলার সকল যান চলাচল করে। তার উপর অন্য জেলার বেশকটি উপজেলার মালামাল পরিবহন করে। চলে বাসও। যে কারণে এই যানযট। তবে এবার কঠোরভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর আগেও উদ্যোগ নেয়া হেয়ছিলো। কিন্তু তারা মানেনি। এবার রঙ দিয়ে নাম্বার লিখে দেয়া হচ্ছে। কথা না মানলে অটো আটক করে গুড়িয়ে দেয়া হবে।