Saturday, October 5, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদদূর্গাপুর উপজেলাপর্যটন খ্যাত দুর্গাপুরে আবারও ফিরলো প্রাণ চাঞ্চল্য

পর্যটন খ্যাত দুর্গাপুরে আবারও ফিরলো প্রাণ চাঞ্চল্য

নেত্রকেনাার দুর্গাপুর যেনো সীমান্তের পাহাড়ী সমতলের ভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর এক অভিন্ন মেলবন্ধন। এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদের নৈসর্গিক দৃশ্য। অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। যা মানুষকে আকৃষ্ট করে দারুণভাবে।
পাহাড় নদীর রয়েছে গভীর মিতালি। পুরো উপজেলাটি যেনো প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। এটি অঘোষিত পর্যটন এলাকা হলেও দেশবিদেশের নানা স্থান থেকে এখানে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসেন সৌন্দ্যর্য্য উপভোগ করতে।

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে করোনা মাহমারির কারণে দেশের সকল পর্যটন এলাকা বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও ছিলো পর্যটন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা। অবশেষে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ায় প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। মানুষ ঘুরতে আসছে আপনজনদে নিয়ে। কেউ কেউ আসছেন নিজেকে প্রকৃতিতে হারাতে।

২৭৮.২৮ বর্গ কিলোমিটারের দুর্গাপুর উপজেলায় রয়েছে সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। তারমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নেই রয়েছে পর্যটনের ছোঁয়া। এরমধ্যে দুইটি ইউনিয়নের পুরো এলাকা জুরেই নৈসর্গিক দৃশ্য আর প্রাকৃতিক সম্পদে রয়েছে ভরপুর। এছাড়া সোমেশ্বরী নদী রয়েছে পুরো উপজেলার শুরু থেকে শেষ সীমানা পর্যন্ত। ভারতের বাঘমারা সীমান্ত দিয়ে নেমে আসা এই পাহাড়ী নদী যেমন রূপে তেমনই গুণে। আশিবার্দ হয়ে রয়েছে উপজেলার মানুষের জন্যে। সারা বছরই নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালু পাথর উত্তোলন হয়।

এছাড়াও উপজেলার সদর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের সবটুকু জুরে রয়েছে চিনামাটির পাহাড়। যা থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে উপজেলার প্রভবাবশালীরা তার কোন হিসেব নেই। স্বাধীনতার পর থেকে শুরু হয় মাটি, বালু পাথর উত্তোলন।

শীত বর্ষা সকল মওসুমে হাজার হাজার পর্যটন ঘুরতে আসেন এসকল সৌন্দয্য দেখতে। কিন্তু বেশিরভাগ এলাকা ঘুরতে হয় তাদের দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। এই এলাকার সম্পদ দিয়েই পর্যটন এলাকাটিকে নিরাপত্তা সহ চলাচল নির্ভিঘ্ন ও মসৃণ করা যেতো। রাজস্বও পেতো সরকার। এসব কিছুরই এখানে করা হয় নি। ফলে দুর্ভোগ নিয়েই মানুষ ঘুরতে আসেন সৌন্দর্য দেখতে। রানী খং মিশনের ক্যাথলিক গীর্জা, কমলা রানীর দীঘি, বিজয়পুর সীমান্ত, শাখায়েত বাঁধ, ভবানিপুর সীমান্তসহ বেশ কিছু স্পট রয়েছে দেখার মতো।

শুধুমাত্র বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি ছাড়া এগুলেতে কোথাও মানুষ বসে বিশ্রাম নেয়া বা রিফ্রেস হবার মতো সুযোগ নেই। তবুও মানুষ ঘুরতে আসে মনের খোড়াকি নিতে। তবে জেলা প্রশাসক কাজি মো.আবদুর রহমান জানালেন, পর্যটন এলাকা হিসেবে ঢেলে সাজানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments