হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
বিষেও যখন ভেজাল।ভেজাল নেই কোথায়। কেউ কেউ বলেন, এ দেশে কেবল খাদ্যে নয়, বিষেও নাকি এখন ভেজাল আছে।
বিষেও এখন ভেজাল! এই কথা গুলি বলেছেন নেত্রকোনার কেন্দুয়ার উপজেলার রাজিবপুর গ্রামের চা দোকানী আব্দুল কাদির মিয়া। তিনি বলেন তার বাড়িতে একটি ছোট চা দোকান রয়েছে।
এই দোকানে তিনি চা,বিস্কুট, রুটি, তেল,সাবান ইত্যাদি বিক্রি করে যে কয়েক টাকা আয় হয় তা দিয়ে ৬ সদস্য সংসার চালান তিনি।
এমত অবস্থায় কয়েক মাস যাবত তার দোকানে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায়। দোকানে থাকা বিস্কুট, রুটি ইত্যাদি রাতের বেলায় ইঁদুর খেয়ে ফেলে। ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে চা দোকানী আব্দুল কাদির স্থানীয় বাজার থেকে ইঁদুরের ঔষধ (বিষ) কিনে আনেন।
রাতে দোকানের নির্ধারিত স্থানগুলোতে বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার পর সকালে তিনি দেখেন ইঁদুর একটাও মরেনি!
পরের দিন স্থানীয় বাজারের অন্য দোকান থেকে আবার ইঁদুর মারার জন্য বিষ কিনে আনেন। দোকানের নির্ধারিত স্থানগুলোতে শুঁটকি মাঝে বিষ ছিটিয়ে দেওয়ার পরও কোনো ইঁদুর মরেনি।
এমনি করে তিনি কয়েক দফায় খোলা বাজার থেকে বিষ কিনে আনছেন আর দোকানে দিচ্ছেন কিন্তু কোনো ইঁদুর মরেনি! আব্দুল কাদিরের মতো বিষ কিনে ইঁদুর উপদ্রব থেকে মুক্তি মেলেনি আরও অনেকের। তারা বলছে
বিষেও এখন ভেজাল!
প্রতিদিন স্থানীয় বাজার গুলিতে দেখা যায়, খোলা বাজারে হেঁটে হেঁটে একদল লোক কাদে একটি ব্যাগ এবং হাতে হেন মাইক নিয়ে প্রচার করে তেলাপোকা, ছারপোকা ও ইঁদুর মারার প্রায় ৪ থেকে ৫ পদের বিষ বিক্রি করছেন। তবে এসব বিষের প্যাকেটের মোড়কে বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের তেমন কোন ঠিকানা নেই। যার ফলে অনিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর বাজারজাত করা বিষের মান প্রশ্নবিদ্ধ। এ-ই সব বিষ কিনে সাধারণ জনগন প্রতারণার শিখার হচ্ছেন।