হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া: নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় এক মাদরাসা ছাত্রীকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মঞ্জুরুল হক (২৫) নামে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করেছে কেন্দুয়া থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতারকৃত ওই ইমামকে নেত্রকোনা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। একই সময় ধর্ষণের শিকার ওই মাদরাসা ছাত্রীকেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৭ এপ্রিল) ভোরে কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের দিগলী গ্রামের একটি জঙ্গলে বাঁশঝাড়ের নিচে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বলে মামলা সূত্রে জানা গেছে।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মঞ্জুরুল হক দিগলী ফকির বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি একই উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইমাম মঞ্জুরুল ওই মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি ভোরে স্থানীয় শিশুদের আরবী পড়াতেন। এরই সুবাদে ওই মাদরাসা ছাত্রীর সাথে পরিচয় ঘটে মঞ্জুরুলের। পরিচয়ের একপর্যায়ে ওই মাদরাসা ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। ঘটনার দিন গত বুধবার ভোরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়ির পেছনে জঙ্গলে ডেকে নিয়ে বাঁশঝাড়ের নিচে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির পিতা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে টর্চের আলোতে তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি দেখতে পান। পরে তার ডাক-চিৎকারে দৌড়ে পালিয়ে যায় মঞ্জুরুল।
এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে বুধবারই ইমাম মঞ্জুরুল হককে দিগলী গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার রাতে মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই ইমামকে আসামী করে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঞ্জুরুল হককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খানের সাথে কথা হলে তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত মঞ্জুরুল হককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং ধর্ষিত ওই মাদরাসা ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।