Thursday, April 25, 2024
মূলপাতাঅন্যান্যব্যবহারের অনুপযোগী দুযোর্গ সহনীয় ঘর

ব্যবহারের অনুপযোগী দুযোর্গ সহনীয় ঘর

ফয়েজ আহম্মদ হৃদয়,মদন: প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় কয়েকদিন যেতে না যেতেই ঘরগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঘরের নির্মাণ কাজ অসম্পন্ন রেখে প্রকল্পের টাকা উত্তোলণ করে নিয়ে যাওয়ায় সরকারের মহতি এ কাজ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এসব ঘর নির্মানে নিম্ন মানের ইট,বালু,রড,কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান এর বিরুদ্ধে।

মদন উপজেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা (পিআইও) অফিস সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন(টিআর) কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে নায়েকপুর ইউনিয়নে ৬ টি ঘর নির্মাণে ১৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্প সভাপতি ঘরগুলো মনগড়া ভাবে কাজ সম্পন্ন করে বিল উত্তোলন করে নিয়ে গেছে।

নায়েকপুর ইউনিয়নে (১৫ মার্চ) সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ঘর নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির চিত্র। এলাকার অসহায় হতদরিদ্রদেরকে ঘর না দিয়ে স্বজনপ্রীতি করে সচ্ছল ব্যাক্তিদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সুবিধাভোগীরা জানান, ঘর নির্মাণে অনিয়মের ব্যাপারে মুখ খুললে পরবর্তীতে আর কোন সুবিধা তারা পাবে না। আবার পরে কোন ঝামেলায় পড়ে কিনা এমন আশঙ্কাও তাদের মধ্যে কাজ করছে। নির্মাণাধীন এ ঘরগুলোর কাজ অধিকাংশই অসমাপ্ত রয়েছে। কয়েকটি বাথরুম ও রান্না ঘরের দরজা নেই। নিম্ন মানের কাঠ দিয়ে ঘরের দরজা-জানালা তৈরী করায় তা ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা অসমাপ্ত কাজ করে দেয়ার জন্য বার বার তাগিদ দিলেও সংশ্লিষ্টরা নানা অজুহাতে সময় অতিবাহিত করায় এসব অনিয়ম-দূর্নীতি মেনে নিয়েই তারা দূর্ভোগের মধ্যে ঘরে বসবাস করছেন।

নায়েকপুর ইউনিয়নের রাজতলা গ্রামের সুবিধাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস মিয়া জানান, ঘর তো পেয়েছি অনেক আগেই। কিন্তু এর কাজ এখনো শেষ হয়নি। বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে। নিম্ন মানের কাঠ দেয়ায় দরজা-জানালা লাগানো যায় না। চেয়ারম্যানকে বার বার বলার পরেও কোন কাজ হচ্ছে না। এ পর্যন্ত ঘর কেউ দেখতেও আসেনি।

প্রতিবেশী আরেক সুবিদাভোগী খোকন মিয়া জানান, নতুন ঘর পাইছি কিন্তু শান্তিতে থাকতে পারি না। বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে। এখনো ঘরের অনেক কাজ বাকী রয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রুমান জানান, একটি ঘরের দরজা লাগানো বাকি ছিল তা দেয়া হয়েছে। বাকি ঘরগুলো ভাল কাঠ দিয়ে সঠিক ভাবে নির্মাণ করেছি।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শওকত জামিল জানান, এ ঘর নির্মাণের টাকা অনেক আগেই প্রকল্পের সভাপতি উত্তোলন করে নিয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, এ প্রকল্পের কাজ আমি যোগদান করার আগে হয়েছে। ঘরগুলো পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যববস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments