নেত্রকোনায় কিশোর পিটানো ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে মডেল থানার পুলিশ। তাদের একজন হৃদয় মিয়া ওরফে ব্ল্যাক হৃদয় ও মিজান মিয়া। তাদেরকে পৃথক স্থান থেকে মডেল থানা ও ডিবির পুলিশ আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ বুধবার ২৭ এপ্রিল নেত্রকোনা মডেল থানার তদন্ত ইন্সপেক্টর মো. সোহেল রানা জানান, অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অভিযান টিমের সদস্য এস আই নাজমুল হুদা জানান, গত ৪ এপ্রিল মধ্যরাতে ঠাকুরাকোনা বারইডহর ব্রীজের উপর রনি মিয়া (১৬) নামে এক কিশোরকে কতিপয় যুবক কোমড়ের বেল্ট দিয়া বেধড়ক মারধর করে। এরপর তারা সেই নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়েও দেয়। ভিডিওটি অল্প সময়ের মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
এরই মধ্যে নির্যাতনের ভিডিও টি নেত্রকোনা জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। ঘটনার বিষয়ে অবগত হওয়ার পরপরই পুলিশ সুপারের নির্দেশে মডেল থানার পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের শনাক্তে নামে।
পরবর্তীতে বর্নিত ঘটনার বিষয়ে নির্যাতনের শিকার রনি মিয়া’র বাবা আ. কাদির বাদী হয়ে ০৫ জনের নাম উল্লেখ করে হৃদয় গং দের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই নির্যাতনকারীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
নেত্রকোনা মডেল থানা ও ডিবির সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকষ টীম বারহাট্টা থানা পুলিশের সহযোহিতায় ২৬ এপ্রিল রাতে রাজুরবাজার এলাকা থেকে এজাহারনামীয় ২নং আসামি মিজান মিয়াকে এবং ঠাকুরাকোনা এলাকা থেকে ০১ নং আসামী হৃদয় মিয়া ওরফে ব্ল্যাক হৃদয়’কে গ্রেফতার করা হয়।