ফয়েজ আহম্মদ হৃদয়, মদন: নেত্রকোনার মদন উপজেলার বনতিয়শ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ মার্চ) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন স্কুল কমিটির সভাপতি খসরু নোমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মদন উপজেলার বনতিয়শ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘরের ছাউনির টিন ৭২ পিছ, ৪ টি কাঠের দরজা ও চল্লিশটি বেঞ্চ সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ না করে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহিন সুলতানা ও সহকারি শিক্ষিকা বিপুলা আক্তার।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলের বিভিন্ন পরিত্যক্ত সরঞ্জামাদি বিশেষ করে স্কুল ভবনের ছাউনির টিন, ৪ টি কাঠের দরজা বেঞ্চ বিক্রি করেছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মতে, কোন বিদ্যালয় বা সরকার স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রি করতে গেলে উপজেলা নিলাম কমিটি টেন্ডারের মাধ্যমে মালামাল বিক্রি করবে। মালামাল বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া বিধান রয়েছে।
বনতিয়শ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা বিপুলা আক্তার জানান, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হওয়ায় সভাপতি নিজের অনিয়ম ডাকার জন্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অভিযোগ করেছেন। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বনতিয়শ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকা শাহিন সুলতানা জানান, স্কুলের মালামাল বিক্রি টাকা সভাপতি খসরু নোমান স্কুলের কাজে লাগিয়েছেন। দুটি দরজা সভাপতির নিজে নিয়েছেন। তবে মালামাল বিক্রি করার সাথে সহকারী শিক্ষিকা বিপুলা আক্তারের সম্পৃক্ততা নেই।
মদন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন এর নিকট স্কুলের মালামাল বিক্রি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের কোনো মালামাল বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মদন উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা হাবিবুর রহমান মাস্টার বলেন, বনতিয়শ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।