ফয়েজ আহম্মদ হৃদয়, মদন: নেত্রকোনার মদনে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর লাঠিয়াল বাহিনী নির্য়াতন করায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের জাওলা গ্রামের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা একলাছুর রহমানের পরিবারের উপর এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে (২৩ মার্চ) মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধার ছেলে হাফেজ মোঃ মোস্তাফিজ আহম্মেদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি জন্য মদন থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর প্রেরণ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের জাওলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা একলাছুর রহমান ২০১৬ সালের জুন মাসে মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় স্ত্রী, এক মেয়ে ও তিন ছেলে রেখে যান। ছেলেরা চাকুরীর সুবাধে বাড়িতে না থাকায় একই গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মোঃ আবুল মনছুর(আছাব আলী) বীর মুক্তিযোদ্ধার বসত বাড়ি দখলে নেয়ার জন্য পরিবারটির উপর নানা ভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। (২০ মার্চ) শনিবার আছাব আলীর ছেলে আতারুল মুক্তিযোদ্ধার পুকুরে গরু গোসল করাতে গেলে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার তা নিষেধ করেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বটি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার বসত বাড়ির একটি ফলদ বৃক্ষ আম গাছের ডালাপালা কেটে ফেলে।
পরদিন(২১ মার্চ) রবিবার মুক্তিযোদ্ধার ছেলে লালন বাড়িতে এসে গাছ কাটার বিষয়ে আতারুলের কাছে জানতে চাইলে আছাব আলী ও তার ছেলেরা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ঘেরাও করে ফেলে। মেয়েরা লালন কে বাড়ির পিছনের জঙ্গল দিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করায় তার জীবন রক্ষা পায়। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে ২৩ মার্চ মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার(২৩ মার্চ) জাওলা গ্রামে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা একলাছুর রহমানের বাড়িতে গেলে ফলদ বৃক্ষ আম গাছের ডাল পালার কাটা অংশ দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় আছাব আলীর সাথে দেখা হলে তিনি জানান, তাদের পুকুরে গরু গোসল করাতে নিষেধ করায় আমার ছেলে রাগে আম গাছের ডাল কেটে ফেলেছে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল জানান, আমি শুনেছি মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা একলাছুর রহমানের পরিবারের সাথে একই গ্রামের আছাব আলীর ঝগড়া হয়েছে। আমি বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর নির্যাতনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগটি মদন থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।