নেত্রকোনায় মা ভাইদের হামলায় আহত হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে অটো চালক মাহবুবুর রহমান। জেলার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের কদমদেওলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে।
এরপর এলাকাবাসীর সহায়তায় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লাকী আক্তার (৩২) কে। কিন্তু সাথে ৬ মাসের দুধের শিশু থাকায় বিপাকে অটোচালক মাহবুবুর রহমান। শিশু সন্তানকে কুলে নিয়েই বিচার চেয়ে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।
বুধবার বিকালে খবর পেয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুন জানান, বারহাট্টা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে করনীয় বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউপি চেয়ারম্যান পল্টন সরকারের মোবাইলে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে বারহাট্টা থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। মাহবুবের মা ছেলেকে অত্যাচার করার। সেখানে তিনি পুলিশ পাঠিয়েছেন। বিষয়টি দেখবেন।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত লাকী আক্তার ও তার স্বামী অটো চালক মাহবুবুর রহমান জানান, তারা দুই বছর পূর্বে বিয়ে করেন। এরপর স্বামী স্ত্রী মিলে পরিবারে টাকা পয়সা দিয়ে এমনকি একটি ঘরও করে দিয়েছেন। কিন্তু মাহবুবুর রহমানের মা হেনা আক্তার ও বোন লিপি আক্তার, ভাই জুয়েলসহ সবাই মিলে তাদেরকে মারধর করে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য। পাশাপশি টাকা পয়সা দেয়ার জন্য।যতক্ষন তারা টাকা দেয় ততক্ষণই ভালো থাকে। এভাবে প্রায় সময়ই মরাধর করে। গত রাতে মারতে মারতে লাকীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। ছেলেকে উলঙ্গ করে মেরেছে।
মাহবুবুর বলেন, তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় অন্যান্য মানুষদেরকেও এভাবে হয়রানী করে এবং সাথে সাথে নিজেরা মারমারি কেটে কুটে থানায় গিয়ে সাজিয়ে মামলা দেয়।
তার নিজের কামাই সংসারে এমন অশান্তি শুরু করেছে। এর থেকে তিনি ও তার স্ত্রী এবং ৬ মাস বয়সী দুধের শিশু রেহাই চায়।