মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিজয়ের মাস গত ডিসেম্বর থেকে কটুক্তিসহ নানা ভাবে অসদাচরণের অভিযোগে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা একাট্টা হয়ে পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজনের পদ থেকে অপসারন দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাব হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন করেন পূর্বধলা উপজেলার বিক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধাগণ।
চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজনের খারাপ আচরণসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি তুলে ধরা হয় এই সংবাদ সম্মেলনে। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আইয়ুব আলী। মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নিজাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলকাছ উদ্দিন ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব তালুকদার। এছাড়াও পূর্বধলা উপজেলার অর্ধশত বীর মুক্তিযোদ্ধা গণ এসময় সাংবাদিকদের কাতারে উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বধলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও পরিবার বর্গের ব্যানারে ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন সময় কটুক্তি ও মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় তাদের সাথে অসদাচরণ করায় প্রতিবাদে তারা সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষুব্ধ।
অভিযোগে আরো বলেন, পূর্বধলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বিভিন্ন সময় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নানা ধরণের কটুক্তি ও অসদাচরণের মাধ্যমে অপমানিত করে আসছে।
বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সরকার যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ শ্রদ্ধা ও সন্মান প্রদর্শণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করছে, সেখানে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি ও বিভিন্ন সময় অসদাচরণ আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
তারা জাতির সূর্য সন্তানদের বিরুদ্ধে এ ধরণের আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সরকারের কাছে অবিলম্বে তাকে উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ ও যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের জোর দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা প্রদান করেন। এসময় তারা আরো বলেন, সুজনের বিরুদ্ধে নৌকার বিপক্ষে াজ করার অভিযোগ রয়েছে। দলের ক্ষমতা পদ পদবি ব্যবহার করে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।