ফয়েজ আহম্মদ হৃদয়: মদন নেত্রকোনার মদনে প্রভাবশালীরা বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি প্রতারণা করে নিজেদের দখলে নেয়ার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যেগে মদন উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধার জমি অচিরেই দখল মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক কলামিষ্ট ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম হিরু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ছদ্দু মিয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী শাহজাহান, আজিজুল ইসলাম কাছু, আব্দুল হেকিম,পৌর কমান্ডার,একে এম শামছুল হক খসরু,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উপজেলা আহবায়ক জাকির হোসেন,পৌর আহবায়ক উজ্জ্বল রহিম,সৈয়দ মুরাদ প্রমূখ।
ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামছুল হক খসরু জানান, আমার নিঃসন্তান ফুফুর মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকার হিসাবে আমরা তিন ভাই এবং সাত বোন। বালালী মৌজায় ৩৭০ খাতিয়ানে ৩৪৫ নং দাগে ৬ শতাংশ ভূমি আমার ফুফুর নামে বিআরএস সম্পন্ন হয়। যা আমরা দীর্ঘদিন যাবত দখলে ছিলাম। উক্ত ভূমিতে অবৈধ ৫টি দোকান ঘর ছিল যা আমি ২০১২ সালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যেমে উচ্ছেদ করে ছিলাম। ভূমিটি উন্মুক্ত অবস্থায় ছিল। দৌলতপুর গ্রামের খান কিবরিয়া কামাল আমার ভূমিতে ভাড়াটিয়া হিসাবে তখন থেকে ফার্মেসির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। খান কিবরিয়া কামাল প্রতারণার মাধ্যেমে আমার মৃত ফুফুর নাম ব্যবহার করে আশু আক্তার(আশু বেগম) কে আবুছুমা সাজিয়ে একটি দলিল রেজিস্ট্রি করে। কামাল ৩শতাংশ জায়গা ক্রয় করে ১ শতাংশ ভূমি গোলাম মৌলা খান আজাদের নিকট বিক্রি করেছে। মূলত কাজটি গোলাম মৌলা খানের নেতৃত্বে দলিল লেখক. দলিল সাক্ষী, পরামর্শ ক্রমে এই জালিয়াত কাজটি সম্পন্ন করেন। আমি দলিল দাতার সঙ্গে কথা বলেছি। তার জবানবন্ধির ভিডিও আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। সে স্বীকার করেছে যে ভুল তথ্য দিয়ে জমিটি তার কাছ থেকে কামাল দলিল করে নিয়েছে।