সোহান আহমেদ কাকন:
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ঘর পেয়েছেন নেত্রকোনার হতদরিদ্র প্রায় ২ হাজার পরিবার। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আবেগ আপ্লুত দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। প্রথম পর্যায়ে দেয়া ঘরগুলোতে ইতোমধ্যেই বসবাস করছেন ছিন্নমূল পরিবারগুলো। দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘরগুলোর কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরপরই ঘরগুলোর চাবি উপকারভোগীদের হাতে হস্থান্তর করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন।
মুজিব শতবর্ষে গৃহহীন থাকবে না কেউ, আশ্রায়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার, এই ¯েøাগানে দেশব্যাপী আশ্রায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় নেত্রকোনায় প্রথম ধাপে ঘর পেয়েছেন ৯ শত ৬০ টি গৃহহীন ছিন্নমূল পরিবার। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর পাচ্ছেন আরো ৯শ ২৫ টি ভূমিহীন পরিবার। এরইমধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘরগুলোর কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিটি পরিবারের জন্য দুশতক জায়গায় দুটি থাকার ঘর, টয়লেট, রান্না ঘর, বারান্দা, পানি বিদ্যুৎ সুবিধা সহ দৃষ্টি নন্দন করে গড়ে তোলা হয়েছে ঘরগুলো। সেইসাথে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে রাখা হয়েছে বিদ্যালয় কবরস্থান ও মসজিদ মন্দির নির্মাণের ব্যবস্থাও। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন জাতের গাছের চারা। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পাকা ঘর ও স্থায়ী জায়গা পেয়ে খুশি গৃহহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলোর সদস্যরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে আশ্রিতরা আবেগ আপ্লুত। জীবনে কখনো কল্পনাও করেনি পাঁকা ঘরে থাকবেন তারা। তাই প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন বলে কেঁদে ফেলেন আশ্রিতরা। তবে আশ্রিত পরিবারগুলোকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে কার্যক্রম চলমান রাখার দাবি স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
এদিকে মানসম্মত কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চলমান আশ্রায়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করছেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান । এ সময় হতদরিদ্র পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি।
এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার পূর্বধলার নারায়ন ঢহর গ্রামের মগড়া নদীর তীর ঘেসে গড়ে উঠা আশ্রায়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। এসময় জেলা প্রশাসক জানান, প্রথম পর্যায়ের ঘরগুলো ইতোমধ্যে বসবাস করছেন উপকারভোগীরা। দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘরগুলোর কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরপরই সকল উপকারভোগীদের কাছে ঘর বুঝিয়ে দেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, নেত্রকোনার ১০ টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯শ ৬০ টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯শ ২৫ টি ঘর হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরন করা হচ্ছে। প্রতিটি গৃহনির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা।