Wednesday, April 24, 2024
মূলপাতাঅন্যান্যমোহনগঞ্জে রাজিব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

মোহনগঞ্জে রাজিব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক রেজাউল করিম রাজিব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত প্রেপ্তারসহ বিচার দাবিতে এক মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ সাধারণ পাঠাগারের সামনের সড়কে মোহনগঞ্জ শ্রমিক পরিবহন সমবায় সমিতি ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে রাজিবের মা জয়নাহার বেগম, স্ত্রী মুক্তা আক্তার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ এলাকার শতশত মানুষ এতে অংশ নেয়।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে নিহতের স্ত্রী মুক্তা আক্তার তার ১৫ মাস বয়সী কন্যা শিশুকে কোলে নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তিনি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহীদ ইকবাল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন তালুকদার, নিহত রাজিবের মা জয়নাহার বেগম, মোহনগঞ্জ নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক মাহবুব,উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মামুন, স্থানীয় সূর্যমুখী থিয়েটারের সভাপতি হাবিবুর রহমান হানিফ,উপজেলা শ্রমিক পরিবহন সমবায় সমিতির সভাপতি খোকন মিয়া প্রমূখ।

মানববন্ধনে পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বক্তারা বলেন, ঘটনার এতদিন পার হলেও এখনো পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অবিলম্বে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। পাশাপাশি এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শুভাশীষ গাঙ্গুলীর গাফিলতির কারনেই ওই মামলার মূল আসামিদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। তাই এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাছ বদলের দাবি জানান বক্তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ মে মোহনগঞ্জের ভাটিয়া গ্রামের কাছে কালচার হাওরে ভারী পাথর চাপা দিয়ে ডুবন্ত অবস্থায় থাকা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক রাজিবের হাত মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৫ মে রাত থেকে নিখোঁজ ছিল রাজিব। এ ঘটনার রাজিরে বাবা পৌরশহরের দেওথান গ্রামে বাচ্চু মিয়া বাদি হয়ে উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়নের ভাটিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামি মোহনগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই এলাকার তিনজনকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদেরকে আদালদের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠালেও এজহারভুক্ত অন্যান্য আসামিদেরকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ফলে এ নিয়ে এলাবাসীূর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments