দ্বিতীয় ধাপে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেষ সময়ে এসে এক মঞ্চে বসেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের বিবদমান দুটি গুরুপ। আগামী ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ১৪ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর ৩৯জন সহ মোট ৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লতিফুর রহমান রতন। এদিকে খেলাপির জন্য বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র শিক্ষক মাহবুবুন নবী শেখের প্রার্থীতা ঝুলে আছে আদালতে।
অন্যদিকে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস আজাদের মেয়ে তাহমীনা পারভীন বীথি। এর আগে তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম ক্রয় করলে নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
এছাড়াও মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন মোহনগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আবু হেনা মোস্তফা কামাল সেতু। তিনিও শুরুতে নৌকার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ময়মনসিংহ বিভাগের নীতি নির্ধারকের দায়িত্বে থাকা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের কাছে জীবন বৃত্তান্তও জমা দিয়েছিলেন। কোন সাড়া না পেয়ে তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
এদিকে মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লতিফুর রহমান রতন ও সম্পাদক শহীদ ইকবালের নেতৃত্বে দুই ভাগে বিভক্ত থাকলেও পৌর নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে নৌকাকে বিজয়ী করতে এক মঞ্চে বসেছেন দুই পক্ষই। একসাথে প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন মাঠে।
এছাড়াও সম্প্রতি নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস এর চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোহনগঞ্জের সন্তান সাজ্জাদুল হাসান। নিজ এলাকার উন্নয়নের রূপকার সাজ্জাদুল হাসান মোহনগঞ্জে নৌকাকে বিজয়ী করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে ইতিমধ্যেই নির্বাাচনের প্রচার প্রচারণা চলাকালে প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা পারভীন বীথি। এ নিয়ে তিনি সম্প্রতি নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ইউএনও ও ডিসির প্রত্যাহার দাবি করেছেন।