মির্জা হৃদয় সাগর:
ঐতিহাসিক যাত্রাপালা সিরাজউদ্দৌলার মাধ্যমে শেষ হলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী নেত্রকোনা জেলা শাখা আয়োজিত লোকসংগীত উৎসব।
লোকসংগীত উৎসবের দ্বিতীয় দিন ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মা মাটির টানে নেত্রকোনার লোকজ উৎসব এসে উপস্থিত হন। তিনি জানান, এদেশে উদীচীর উপর হামলার ঘটনা ঘটে,তখন এটা বুঝতে হবে উদীচী সঠিক কাজটি করছে, এদেশে বর্তমানে সমস্যা একটাই সাম্প্রদায়িকতা।
এই গত দুইদিনের লোকজ উৎসবে তুলে ধরা হয় নেত্রকোনা অঞ্চলের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি। জারি, সারি, গেটু গান,বাউল গান সহ বিভিন্ন ধরনের গানের আয়োজন হয়। শুধু গানের আয়োজন ছিল তাই নয় সাথে ছিল পালা গান, কিচ্ছা, যাত্রা পালা, লাঠি কেলা, বাউল গান, বাউল নৃত্য, ধামাইল নৃত্য সহ অনেক কিছু।
ধামাইল নৃত্য হলো হাওর অঞ্চল খালিয়াজুরির বিখ্যাত নৃত্য। নতুন বউ বিয়ে হয়ে আসার পর তার সকল শাশুড়ীদের আনন্দ দেওয়ার জন্য এই নৃত্য হয়। এই নৃত্যের প্রধান বিষয় হলো নতুন বউয়ের পা মাটি থেকে উপরে উঠতে পারবে না।
২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শুরু হয় ২য় দিনের অনুষ্ঠান। পর্যায়ক্রমে দলীয় গান, নৃত্য, বাউল গান, কিচ্ছা পালা ও যাত্রা পালা অনুষ্ঠিত হয়। রাত ১০ টায় শুরু হয় জ্ঞানদীপ থিয়েটারের আয়োজনে ঐতিহাসিক যাত্রা পালা নবাব সিরাজুদ্দৌলা। রাত প্রায় ১.৩০ পর্যন্ত এই যাত্র পালা চলে, মধ্যরাত পর্যন্তও দর্শকে ভরপুর ছিল।২ দিনের পুরো অনুষ্ঠানে দর্শকদের অনেক সারা পাওয়া যায়।
লোকসংগীত উদযাপন কমিটির সদস্য সঞ্জয় দত্ত জানান, আমরা দুই দিনের অনুষ্ঠানে দর্শকদের যে পরিমান সারা পেয়েছি তা অভাবনীয়। তাই আমরা লোকসংগীত উদযাপন কমিটি আলোচনা অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি পরবর্তীতে ৩/৫ দিন ব্যাপি লোকসংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করব বলে ধারণা করছি। এবছর আমাদের প্রথম আয়োজন ছিল, আয়োজন সর্বশেষে সফল হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী লোকসংগীত উৎসব।