নেত্রকোনায় রমজানের প্রথম সপ্তাহেই জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর চারটি হত্যাকান্ড। একই জেলায় সাত দিনের ব্যবধানে পরপর চারটি খুনের ঘটনায় পুলিশসহ জনমনে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করে। তবে দ্রæততার সাথে চারটি ঘটনারই রহস্য বের করে অসামী গ্রেফতার করায় জনমনে স্বস্থি ফিরে। পারিবারিক কলহের জের, প্রেম ও ছিনতাইসহ ভিন্ন ভিন্ন কারণে ঘটা এসকল হত্যাকান্ডে জেলাজুরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে সুশীল সমাজে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যে কারণে পুলিশ প্রশাসন এসকল নানা বিষয়সহ চলতি রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সমানে রেখে শনিবার ইফতার পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এ সকল হত্যাকান্ডের ফিরিস্থি তুলে ধরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত্র প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ জানান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভিন্ন ভিন্ন স্থানে চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডের ঘটনায় জাড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসাথে আসন্ন রমজান জুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হারুন অর রশিদ, (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান, বিশেষ শাখা (মিডিয়া মুখপাত্র) মো. লুৎফর রহমান সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ বলেন, গেল ১৪ মার্চ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিযা হাওরে ঝিনাইদহের বাসিন্ধা ঢাকার পাঠাও চালক সাইফুল ইসলাম হত্যাকান্ডে জড়িত নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের হারারকান্দি সুলতানপুর গ্রামের অন্তর আহমেদ শান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নে খাটপুরা গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে কঠার দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী রুবিনা আক্তার হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্বামী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই দিনে জেলার মদনে ডোবায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে টেটা বল্লমের আঘাতে নয় বছরের শিশু সজিব নিহতের ঘটনায় জরিত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে ১০ মার্চ প্রেম সংক্রান্ত ঘটনায় জেলার পূর্বধলায় নানীর বাড়িতে সোনিয়া আক্তার সুইটি হত্যাকান্ডে জরিত প্রেমিক এনামুল হককে গ্রেফতার করে আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।