হুমায়ুন কবির,কেন্দুয়া: করোনার দ্বিতীয় ধাপে লকডাউনকে শতভাগ কার্যকর করতে প্রতিনিয়ত কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসন মাঠে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে যাচ্ছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত পৃথক পৃথক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে শতাধিক মামলায় ৮৩ হাজার ৯শত টাকা আদায় করেছেন মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
এইসব মোবাইল কোর্ট নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিচালনা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের আওতাধীন ছিল কঠোর লগডাউন চলাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বেহুদা ঘুরাফেরাকারী অসচেতন মানুষ,যাত্রীবাহী গাড়ির মালিক ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান পাঠের বাহিরে থাকা দোকান পাঠের মালিক এবং লকডাউন ওম্যান দের মাঝে এ সকল মামলা দায়ের এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ সমস্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মইন উদ্দিন খন্দকার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড খবিরুল আহসান।
এ দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মইন উদ্দিন খন্দকার পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মোট ৪৪ টি মামলায় ৩৪ হাজার ৪শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অপর দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড খবিরুল আহসান, পরিচালনায় ৭৯ টি মামলায় জরিমানা আদায় হয় ৪৯ হাজার ৫শত টাকা।
উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, যাত্রীবাহী গাড়ির মালিক ও পথচারীদের মাঝে সচেতনতা তৈরী করতেই এ জরিমানাগুলো আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
তার মধ্যে সোমবার (১৯ এপ্রিল) কেন্দুয়া উপজেলার সীমান্তে শামছউদ্দিন মাস্টার পল্লীকুঁড়ি বিদ্যানিকেতন নামের একটি কিন্ডার গার্টেন খোলা রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মইন উদ্দিন খন্দকার। পরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কিন্ডার গার্টেনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই সতর্কতা মূলক এসকল জরিমানা গুলো করা হচ্ছে।
এছাড়া যারা সরকারী নিয়ম ভঙ্গ করে চলাচলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তাদেরকেই মূলত জরিমানা গুলো করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারী প্রজ্ঞাপণ জারির পর থেকেই বিভিন্ন হাট বাজারসহ সড়কে মাইকিং করা হলেও তারা লকডাউন মানছেনা। যে কারণে আমরাও কঠোর হতে বাধ্য হয়েছি।