সুনিদৃষ্ট কোন কারণ ছাড়াই শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাজী নাসির উদ্দিনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে রেজিষ্ট্রারের দাবী নানা অনিয়ম দুনীতির পথকে সুগম এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সুন্দর একটি দেশসেরা প্রতিষ্টানের প্রজেক্ট নয়ছয় করতে এই অবৈধ অব্যাহতি।
টেন্ডার ড্রপ, ট্রেজারারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্টটাইম কাজ, নিয়োগ সহ নানা অনিয়ম করতে না দেয়ায় এবং সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকল তথ্য চলে যাবার ভয়ে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন বলে জানান রেজিস্ট্রার কাজী নাসির উদ্দিন। যা নিয়ম বহির্ভূত। আগে কারণ দর্শানোর নেটিশ দিতে হয়। পরবর্তীতে সেগুলো সিন্ডিকেটে পাস করানোর পর অব্যাহতি দেয়া লাগে।
এ ব্যাপারে শেহাবির ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. রফিকুল্লাহ খান সোমবার দুপুরে অব্যাহতির খবর নিশ্চিত করে বলেন, গত রবিবার রাত থেকেই তাকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। এখন হয়তো কার্যকরী হয়ে গেছে।
অব্যাহতির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন অনেক দিন থেকেই নেত্রকোনাবাসী বিরক্ত তার প্রতি। ইউজিসিসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সহ আরো অনেকেই বিরক্ত নানা আচরণে। এই সব মিলিয়েই দেয়া হয়েছে। আমি নিয়োগ দিয়েছি আমিই অব্যাহতি দিয়েছি।
অব্যাহতি পত্রে কি লিখেছেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত অব্যাহতি পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আপনাকে অব্যাহতি দেয়া হলো।
এভাবে দেয়া যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এসে নেই নেত্রকোনা। সামনাসামনি কথা বলবো।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কাজী নাসির উদ্দিন বলেন, প্রথমত গত বৃহস্পতিবার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।ওইদিনই আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে। কারন বেশ কিছু গোপনীয় বিষয় থাকে। এগুলো ঠিকাদারি প্রতিষ্টানকে জানিয়ে দিলে সে অনুযায়ী টেন্ডার সাবমিট করবে।
একটি বড় অংকের লেনদেনের মাধ্যমে কাজ পাবে লিয়াজুকারী প্রতিষ্ঠান। কাজে নয়ছয় করে ২৪০০ কোটি টাকার একটা লুটপাট হবে। আমি থাকলে সেটি করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সব তথ্য যাবে। দ্বিতীয়ত মাননীয় রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন ট্রেজারার সুব্রত কুমার আদিত্যকে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্টটাইম কাজ করতে চাইলে আমি সেটিতে রাজি হইনি।
কারণ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব করার আমার কোন রাইটস নাই। এছাড়াও এডহক ভিত্তিতে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেয়াও একটি বিষয়। তিনি বিজ্ঞাপন অনুয়ায়ী দারোয়ান নিয়োগ দেন নাই। এর বাইরে অন্য চারজনকে নিয়োগ দিয়েছেন টাকা নিয়ে। এছাড়াও শিক্ষার্থী ভর্তির সময় প্রশ্ন ফাঁস করিয়েছেন। তার উপর রয়েছে নিয়োগের বিষয়।
সব মিলিয়ে যা তা করলে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত চলে যায়। তিনি নেত্রকোনায় থাকেননা নিয়মিত।
ট্রেজারারও কোনদিন এসেছে বলে মনে হয়নি। ইচ্ছেমতো স্বার্থ কায়েম করতে না পেরে এটি করেছেন। যা নিয়ম বর্হিভূত। নিয়ম মাফিক আগামি দুই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এখানে চাকুরির মেয়াদ রয়েছে বলেও জানান তিনি
এসকল অভিযোগ সংক্রান্ত প্রশ্ন করলে ভিসি বলেন, এসব তো বলবেই। টেন্ডার শুরু হয়েছে। আপনারা কাজ দেখতে পাবেন দ্রুতই। তবে এসে নিই পরে কথা বলবো। আমি এসে ফোন দিবো।