নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষি শ্রমিক আ. ওয়াহাব (৪৮) কে অজ্ঞান করে তার থেকে সকল তথ্য নিয়ে বিকাশের মাধ্যমে পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানা ও ডিবি পুলিশ। আটককৃতরা জেলার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত ছানু শেখের ছেলে আজিজুল হক (৩৬) ও মিরাস আলীর ছেলে আব্দুল মোতালিব (৪২)।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে তাদেরকে সোমবার পূর্বধলার নিজ এলাকা থেকে আটকের পর স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দী নিয়ে বিকালে ঘটনাস্থল ঢাকার কারওয়ান বাজার থানাধীন পুলিশ হেফাজতে পাঠায় নেত্রকোনা জেলা পুলিশ। এদিকে গত ১২ দিন ধরে নিখোঁজ স্বামীকে খুঁজছে স্ত্রী আসমা আক্তার। স্ত্রীসহ ভাই বোন ভাতিজাসহ স্বজনরা পুলিশের দারে দারে ঘুরছেন প্রিয়জনকে জীবিত অথবা মৃত ফিরে পেতে।
পুলিশ ও নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওয়াহাব দেশের বিভিণœ এলাকায় কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের সাথে স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে কুমিল্লা, রংপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে শ্রমিকের কাজ করেন। গত ২০ অক্টোবর বাড়িতে মোবাইল ফোনে জানান তাকে খোঁজার দরকার নেই তিনি নেত্রকোনা চলে আসবেন। পরবর্তীতে গভীর রাতে ও ভোরে একটি ফোনে জানতে পারেন ওয়াহাবের স্ত্রী তার স্বামী অজ্ঞান হয়ে ঢাকার কারওয়ান বাজারে পরে আছেন। তাকে বাাঁচাতে হলে টাকা পাঠাতে হবে। পরে পর্যায়ক্রমে সাড়ে ৯ হাজার টাকা পাঠালেও ওয়াহাবের আর কোন খবর না পেয়ে ২৪ অক্টোবর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওয়াহাবের ছোট ভাই আবুল খায়ের। পুলিশ নিঁেখাজ ডায়েরির সূত্র ধরে অজ্ঞান পার্টির দুই প্রতারককে আটক করলেও উদ্ধার হয়নি ভিকটিম।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবির) ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অপরাধীরা সারাদনি ঘুরাঘুরি করে সহজ সরল মানুষদের সাথে মিশে প্রতারণা করে তাদেরকে অজ্ঞান করে সব কিছু নিয়ে নেয়। সেই সাথে ভিকটিমের পরিবার ও স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় টাকা। এরা এই কাজ করে অনেকদিন ধরে। তবে ভিকটিমকে কি করেছে সেটা এখনো বের করা যায়নি।
পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো ফখরুজ্জামান জুয়েল জানায়, যেহেতু ঘটনাস্থল ঢাকা। তাই সেখানে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সেখানে মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভিকটিম উদ্ধারে আমরাও সহযোগিতা করবো।