সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিন আলালের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে পূর্বধলা উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনে পূর্বধলা কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে পূর্বধলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে দৈনিক খোলা কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন মন্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম, বাংলার বানীর সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, দৈনিক ভোরের ডাকের শফিকুল ইসলাম খান, দৈনিক ভোরের অপেক্ষা প্রত্রিকার আব্দুস ছাত্তার, নেত্রকোনা বার্তা ডটকমের আরিফুজ্জামানসহ অনেকেই।
উল্লেখ্য, দৈনিক নয়া শতাব্দী ও ৭১ টেলিভিশনে দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুর উপজেলা সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত সাংবাদিক রিফাত আহমেদ রাসেল দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী থেকে পরিবেশ আইন অমান্য করে বালু উত্তোলন এবং বালু মহালের ইজারাদারদের অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু দিন ধরে লেখা-লেখি করে আসছেন। এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্গাপুর পৌর মেয়র আলাউদ্দিন আলাল দুর্গাপুর পৌর শহরের তার নিজের বাসায় ৯ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাংবাদিক রাসেলকে ডেকে নিয়ে অসংখ্যবার অকথ্য গালাগাল এবং স্থানীয় সোমেশ্বরী নদীর বালুর নিচে পুতে ফেলে হত্যার হুমকি দেয়।
আবার ১০ মার্চ রাতেও আলাল ও তার লোকেরা রিফাতকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার মধ্যে তাদের সামনে হাজির করতে বলেন। এছাড়া রাত ৪ টার দিকে রিফাতের বাসার সামনের দু’টি দোকান এবং বাসার গেটেও হামলা করে কিছু দুষ্কৃতকারী। তখনও তারা রিফাত এবং তার বাবাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এসব ঘটনায় রিফাত আহমেদ রাসেল শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আলাউদ্দিন আলালকে দ্রæত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
এদিকে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওমি মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার জানামতে রিফাতের বিরুদ্ধে কোন চাঁদাবাজি বা কাউকে গালি দেয়ার কোন অভিযোগ শুনিনি। তবে রিফাতের (১১ মার্চ) জিডির পর গত রবিবার (১৩ মার্চ) মেয়র আলাল চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে ম্যানোরকে দিয়ে পাঠিয়েছিলেন। যার সত্যতা না থাকায় রাখা হয় নি।